Surah Ali ‘Imran/ সূরা আলে-ইমরান
(আয়াত: ০১-২৫)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
الٓمٓ ١
আয়াত-১: আলিফ-লাম-মীম।
ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ ٢
আয়াত-২: নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ছাড়া, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
نَزَّلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَـٰبَ بِٱلْحَقِّ مُصَدِّقًۭا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ ٣
আয়াত-৩: তিনি আপনার প্রতি সত্যসহ কিতাব নাযিল করেছেন যা তার পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যয়ন করে। আর তিনি নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইন̖জীল__
مِن قَبْلُ هُدًۭى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ ٱلْفُرْقَانَ ۗ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌۭ شَدِيدٌۭ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌۭ ذُو ٱنتِقَامٍ ٤
আয়াত-৪: ইতিপূর্বে, মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং তিনি সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী কোরআনও নাযিল করেছেন। নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। আল্লাহ পরাক্রমশালী, দণ্ডদাতা।
إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَخْفَىٰ عَلَيْهِ شَىْءٌۭ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِ ٥
আয়াত-৫: নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন যে, আসমান ও জমিনের কোন কিছুই তার কাছে গোপন নেই।
هُوَ ٱلَّذِى يُصَوِّرُكُمْ فِى ٱلْأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَآءُ ۚ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ٦
আয়াত-৬: তিনিই সেই সত্তা, যিনি মাতৃগর্ভে তোমাদের আকৃতি গঠন করেন, যেভাবে তিনি ইচ্ছে করেন। নেই কোন উপাস্য তিনি ছাড়া। তিনি পরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞ।
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَـٰبَ مِنْهُ ءَايَـٰتٌۭ مُّحْكَمَـٰتٌ هُنَّ أُمُّ ٱلْكِتَـٰبِ وَأُخَرُ مُتَشَـٰبِهَـٰتٌۭ ۖ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِمْ زَيْغٌۭ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَـٰبَهَ مِنْهُ ٱبْتِغَآءَ ٱلْفِتْنَةِ وَٱبْتِغَآءَ تَأْوِيلِهِۦ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُۥٓ إِلَّا ٱللَّهُ ۗ وَٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ يَقُولُونَ ءَامَنَّا بِهِۦ كُلٌّۭ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَـٰبِ ٧
আয়াত-৭: তিনিই আপনার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছেন। এতে আছে কতক দ্ব্যর্থহীন সুস্পষ্ট আয়াত, সেগুলো হল গ্রন্থের আসল অংশ। আর অন্যগুলো হল রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে বক্রতা-কুটিলতা রয়েছে কেবল তারাই ফিতনা সৃষ্টি ও অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আর তার ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেঃ আমরা এতে ঈমান এনেছি, এসবই আমাদের প্রভুর তরফ থেকে এসেছে। জ্ঞানবানরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না।
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْوَهَّابُ ٨
আয়াত-৮: হে আমাদের পরওয়ারদেগার! সরল-সঠিক পথ আমাদের প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে আবার সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত কর না। আর আমাদের দাও তোমার অপার করুণা। তুমি তো মহাদাতা।
رَبَّنَآ إِنَّكَ جَامِعُ ٱلنَّاسِ لِيَوْمٍۢ لَّا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ ٩
আয়াত-৯: হে আমাদের পরওয়ারদেগার! তুমি তো মানব জাতিকে একদিন অবশ্যই একত্র করবে, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তার ওয়াদার ব্যতিক্রম করেন না।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَن تُغْنِىَ عَنْهُمْ أَمْوَٰلُهُمْ وَلَآ أَوْلَـٰدُهُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيْـًۭٔا ۖ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمْ وَقُودُ ٱلنَّارِ ١٠
আয়াত-১০: যারা কুফরী করে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর কাছে কোন কাজে আসবে না। আর এরাই হচ্ছে দোযখের ইন্ধন।
كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۚ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمْ ۗ وَٱللَّهُ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ ١١
আয়াত-১১: ফেরাউনের সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববতীদের ধারা অনুযায়ী তারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের পাপের জন্য আল্লাহ তাদের পাকড়াও করেন। আর আল্লাহ দণ্ডদানে অতিশয় কঠোর।
قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَىٰ جَهَنَّمَ ۚ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ ١٢
আয়াত-১২: বলে দিন তাদের যারা কুফরী করে: শিগগীরই তোমরা পরাভূত হবে এবং জাহান্নামে তোমাদের একত্র করা হবে। আর তা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।
قَدْ كَانَ لَكُمْ ءَايَةٌۭ فِى فِئَتَيْنِ ٱلْتَقَتَا ۖ فِئَةٌۭ تُقَـٰتِلُ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَأُخْرَىٰ كَافِرَةٌۭ يَرَوْنَهُم مِّثْلَيْهِمْ رَأْىَ ٱلْعَيْنِ ۚ وَٱللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِۦ مَن يَشَآءُ ۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَعِبْرَةًۭ لِّأُو۟لِى ٱلْأَبْصَـٰرِ ١٣
আয়াত-১৩: অবশ্যই তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল দুটো দলের পরস্পরের মোকাবেলার মধ্যে-একটি দল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল আর অন্য দলটি ছিল কাফেরদের-তারা মুসলিমদের স্বচক্ষে দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ যাকে চান নিজ সাহায্যে শক্তি দান করেন। নিশ্চয় এতে রয়েছে অন্তদৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়।
زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ ٱلشَّهَوَٰتِ مِنَ ٱلنِّسَآءِ وَٱلْبَنِينَ وَٱلْقَنَـٰطِيرِ ٱلْمُقَنطَرَةِ مِنَ ٱلذَّهَبِ وَٱلْفِضَّةِ وَٱلْخَيْلِ ٱلْمُسَوَّمَةِ وَٱلْأَنْعَـٰمِ وَٱلْحَرْثِ ۗ ذَٰلِكَ مَتَـٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسْنُ ٱلْمَـَٔابِ ١٤
আয়াত-১৪: মানুষের কাছে মনোরম করা হয়েছে আকর্ষণীয় কাম্য বস্তুসমূহের মহব্বত-যেমন নারীর, সন্তান-সন্ততির, স্তূপীকৃত স্বর্ণ-রৌপ্যের, চিহ্নিত অশ্বরাজির, গবাদি-পশুরাজির এবং ক্ষেত-খামারের। এ সবই হল পার্থিব জীবনের ভোগ্যবস্তু। আর আল্লাহর কাছেই রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল।
قُلْ أَؤُنَبِّئُكُم بِخَيْرٍۢ مِّن ذَٰلِكُمْ ۚ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّـٰتٌۭ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَٰجٌۭ مُّطَهَّرَةٌۭ وَرِضْوَٰنٌۭ مِّنَ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِٱلْعِبَادِ ١٥
আয়াত-১৫: আপনি বলে দিনঃ আমি কি তোমাদের এসব বস্তুর চেয়ে উত্তম কোন বস্তুর সংবাদ দেব? যারা মোত্তাকী তাদের জন্য রয়েছে তাদের পালনকর্তার কাছে এমন বেহেশত যার পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহর-তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে-আরও আছে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী ও আল্লাহর তরফ থেকে সন্তুষ্টি। আল্লাহ বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা।
ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ إِنَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ١٦
আয়াত-১৬: মোত্তাকি তারা যারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের পাপসমূহ মাফ করে দিন এবং দোযখের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন|
ٱلصَّـٰبِرِينَ وَٱلصَّـٰدِقِينَ وَٱلْقَـٰنِتِينَ وَٱلْمُنفِقِينَ وَٱلْمُسْتَغْفِرِينَ بِٱلْأَسْحَارِ ١٧
আয়াত-১৭: তারা ধৈর্যধারণকারী, সত্যপরায়ণ, বিনয়ী, নেক কাজে ব্যয়কারী আর শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।
شَهِدَ ٱللَّهُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ وَأُو۟لُوا۟ ٱلْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِٱلْقِسْطِ ۚ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ١٨
আয়াত-১৮: আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, ফেরেশতা ও জ্ঞানীবর্গও; আল্লাহ ন্যায়নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি পরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞ।
إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَـٰمُ ۗ وَمَا ٱخْتَلَفَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ ١٩
আয়াত-১৯: নিঃসন্দেহে ইসলামই হল আল্লাহর কাছে একমাত্র দ্বীন। যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের কাছে প্রকৃত জ্ঞান আসার পর শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত তারা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছিল। আর কেউ আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করলে, (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ হিসেব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।
فَإِنْ حَآجُّوكَ فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِىَ لِلَّهِ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِ ۗ وَقُل لِّلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْأُمِّيِّـۧنَ ءَأَسْلَمْتُمْ ۚ فَإِنْ أَسْلَمُوا۟ فَقَدِ ٱهْتَدَوا۟ ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَـٰغُ ۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِٱلْعِبَادِ ٢٠
আয়াত-২০: যদি তারা আপনার সাথে বিতর্ক করে তবে আপনি বলে দিনঃ আমি তো আত্মসমর্পণ করেছি আল্লাহর কাছে এবং আমাকে যারা অনুসরণ করে তারাও। আর যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের এবং নিরক্ষরদের বলুনঃ তোমরাও কি আত্মসমর্পণ করেছ? যদি তারা আত্মসমর্পণ করে তবে অবশ্যই তারাও সরল-সঠিক পথ পাবে। কিন্তু যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনার দায়িত্ব তো শুধু পৌছে দেয়া। আর আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ بِغَيْرِ حَقٍّۢ وَيَقْتُلُونَ ٱلَّذِينَ يَأْمُرُونَ بِٱلْقِسْطِ مِنَ ٱلنَّاسِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ٢١
আয়াত-২১: নিশ্চয় যারা অস্বীকার করে আল্লাহর আয়াতসমূহকে এবং নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে, আর যারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরও হত্যা করে, তাদের শুনিয়ে দিন এক মহাযন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ।
أُو۟لَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ حَبِطَتْ أَعْمَـٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ وَمَا لَهُم مِّن نَّـٰصِرِينَ ٢٢
আয়াত-২২: এরাই সেসব লোক যাদের কার্যাবলী দুনিয়া ও আখেরাতে নিষ্ফল হয়ে গেছে, আর তাদের জন্য কোন সাহায্যকারীও নেই।
أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًۭا مِّنَ ٱلْكِتَـٰبِ يُدْعَوْنَ إِلَىٰ كِتَـٰبِ ٱللَّهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٌۭ مِّنْهُمْ وَهُم مُّعْرِضُونَ ٢٣
আয়াত-২৩: আপনি কি তাদের দেখেননি যাদের কিতাবের কিছু অংশ দেয়া হয়েছিল? তাদের আহবান করা হয়েছিল আল্লাহর কিতাবের দিকে যাতে এ কিতাব তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, এরপরও তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তারাই অমান্যকারী।
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامًۭا مَّعْدُودَٰتٍۢ ۖ وَغَرَّهُمْ فِى دِينِهِم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ ٢٤
আয়াত-২৪: এ অমান্য এজন্য যে, তারা বলে থাকেঃ দোযখের আগুন কখনও আমাদের স্পর্শ করবে না, তবে হাতেগোনা সামান্য কয়েক দিন ছাড়া। তাদের মিথ্যা মনগড়া উদ্ভাবন দ্বীনের ব্যাপারে তাদের ধোঁকায় ফেলে রেখেছে।
فَكَيْفَ إِذَا جَمَعْنَـٰهُمْ لِيَوْمٍۢ لَّا رَيْبَ فِيهِ وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍۢ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ ٢٥
আয়াত-২৫: কিন্তু কি অবস্থা হবে তাদের, যখন আমি তাদের সবাইকে একত্র করব সেদিন যেদিনের আগমনে কোন সন্দেহ নেই এবং যেদিন প্রত্যেককে তার কর্মের প্রতিদান পুরোপুরি প্রদান করা হবে, আর তাদের প্রতি কোন অবিচার করা হবে না?