Surah Ali ‘Imran/ সূরা আলে-ইমরান
(আয়াত: ৭৬-১০০)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ٧٦
আয়াত-৭৬: হাঁ, অবশ্যই যে ব্যক্তি তার অঙ্গীকার পালন করে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলে, তবে তো এরূপ মোত্তাকীদের আল্লাহ̖ ভালবাসেন।
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ ٱللَّهِ وَأَيْمَـٰنِهِمْ ثَمَنًۭا قَلِيلًا أُو۟لَـٰٓئِكَ لَا خَلَـٰقَ لَهُمْ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ وَلَا يَنظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ٧٧
আয়াত-৭৭: নিশ্চয় যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদার পরিবর্তে এবং নিজেদের শপথের পরিবর্তে সামান্য বিনিময় গ্রহণ করে তাদের জন্য আখেরাতে কোন অংশ নেই। আর কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদের পরিশুদ্ধও করবেন না; তাদের জন্য নির্ধারিত আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًۭا يَلْوُۥنَ أَلْسِنَتَهُم بِٱلْكِتَـٰبِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ٧٨
আয়াত-৭৮: আর তাদের মধ্যে তো একদল লোক এমন আছে যারা নিজেদের জিহবা বাঁকা করে কিতাব পাঠ করে যাতে তোমরা মনে কর যে, তা কিতাবেরই অংশ, অথচ তা কিতাবের অংশ নয়। আর তারা বলেঃ “এসব আল্লাহর তরফ থেকে”, আসলে তা আল্লাহর তরফ থেকে নয়। তারা জেনে-শুনে আল্লাহ̖র প্রতি মিথ্যা আরোপ করে।
مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ ٱللَّهُ ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْحُكْمَ وَٱلنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا۟ عِبَادًۭا لِّى مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَـٰكِن كُونُوا۟ رَبَّـٰنِيِّـۧنَ بِمَا كُنتُمْ تُعَلِّمُونَ ٱلْكِتَـٰبَ وَبِمَا كُنتُمْ تَدْرُسُونَ ٧٩
আয়াত-৭৯: কোন মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, হেকমত ও নবুওত দান করবেন তারপর সে লোকদের বলবেঃ “তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে আমার বান্দা হয়ে যাও।” বরং সে বলবেঃ “তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, এজন্য যে, তোমরা শেখাও কিতাব এবং নিজেরাও পাঠ কর।”
وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا۟ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةَ وَٱلنَّبِيِّـۧنَ أَرْبَابًا ۗ أَيَأْمُرُكُم بِٱلْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ ٨٠
আয়াত-৮০: সে তোমাদের আদেশ দেবে না যে, তোমরা ফেরেশতাদের এবং নবীদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ কর। সে কি তোমাদের নির্দেশ দেবে কুফরীর, এ অবস্থায় যে, তোমরা মুসলিম?
وَإِذْ أَخَذَ ٱللَّهُ مِيثَـٰقَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ لَمَآ ءَاتَيْتُكُم مِّن كِتَـٰبٍۢ وَحِكْمَةٍۢ ثُمَّ جَآءَكُمْ رَسُولٌۭ مُّصَدِّقٌۭ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِۦ وَلَتَنصُرُنَّهُۥ ۚ قَالَ ءَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَىٰ ذَٰلِكُمْ إِصْرِى ۖ قَالُوٓا۟ أَقْرَرْنَا ۚ قَالَ فَٱشْهَدُوا۟ وَأَنَا۠ مَعَكُم مِّنَ ٱلشَّـٰهِدِينَ ٨١
আয়াত-৮১: আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ অঙ্গীকার নিয়েছিলেন নবীদের কাছ থেকে যে, যা কিছু আমি তোমাদের কিতাব ও হেকমত দিয়েছি এবং তোমাদের কাছে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে যখন একজন রাসূল আসবে তখন অবশ্যই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সাহায্য করবে। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা কি স্বীকার করলে এবং এ বিষয়ে আমার অঙ্গীকার কবুল করলে? তারা বললঃ আমরা স্বীকার করলাম। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা সাক্ষী থেক এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত রইলাম।
فَمَن تَوَلَّىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَـٰسِقُونَ ٨٢
আয়াত-৮২: এরপর যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই হবে নাফরমান।
أَفَغَيْرَ دِينِ ٱللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُۥٓ أَسْلَمَ مَن فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًۭا وَكَرْهًۭا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ ٨٣
আয়াত-৮৩: তবে কি তারা আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন অন্বেষণ করে? অথচ তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এবং তারই দিকে তারা সবাই প্রত্যাবর্তিত হবে।
قُلْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْمَـٰعِيلَ وَإِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ ٨٤
আয়াত-৮৪: বলুনঃ আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং আমাদের উপর যা কিছু নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা কিছু নাযিল হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার সন্তানদের উপর এবং যা কিছু প্রদান করা হয়েছে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীদের তাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। আর আমরা তারই জন্য নিবেদিত আত্মসমর্পণকারী।
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ ٱلْإِسْلَـٰمِ دِينًۭا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَـٰسِرِينَ ٨٥
আয়াত-৮৫: যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন অন্বেষণ করবে, কখনও তা তার থেকে কবুল করা হবে না; আর আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
كَيْفَ يَهْدِى ٱللَّهُ قَوْمًۭا كَفَرُوا۟ بَعْدَ إِيمَـٰنِهِمْ وَشَهِدُوٓا۟ أَنَّ ٱلرَّسُولَ حَقٌّۭ وَجَآءَهُمُ ٱلْبَيِّنَـٰتُ ۚ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٨٦
আয়াত-৮৬: কিরূপে আল্লাহ এমন জাতিকে সৎপথে পরিচালিত করবেন যারা কুফরী করে তাদের ঈমান আনার পর এবং রাসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর আর তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর? আল্লাহ জালিম কওমকে হেদায়াত দান করেন না।
أُو۟لَـٰٓئِكَ جَزَآؤُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِمْ لَعْنَةَ ٱللَّهِ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةِ وَٱلنَّاسِ أَجْمَعِينَ ٨٧
আয়াত-৮৭: এরূপ লোকদের কৃতকর্মের প্রতিফল হল এই যে, নিশ্চয়ই তাদের প্রতি লা’নত আল্লাহর, ফেরেশতাদের এবং মানুষ সকলেরই।
خَـٰلِدِينَ فِيهَا لَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ ٱلْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ ٨٨
আয়াত-৮৮: তারা অনন্তকাল এ লানতে থাকবে; তাদের আযাব হালকা করা হবে না এবং তাদের বিরামও দেয়া হবে না।
إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌ ٨٩
আয়াত-৮৯: তবে তাদের ব্যতিরেকে যারা এরপর তওবা করে নেয় এবং নিজেদের সংশোধন করে নেয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْدَ إِيمَـٰنِهِمْ ثُمَّ ٱزْدَادُوا۟ كُفْرًۭا لَّن تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلضَّآلُّونَ ٩٠
আয়াত-৯০: অবশ্য যারা কুফরী করে তাদের ঈমান আনার পর এবং বৃদ্ধি পেতে থাকে তাদের কুফরী প্রবৃত্তি, কখনও কবুল করা হবে না তাদের তওবা। এরাই প্রকৃত গোমরাহ।
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَمَاتُوا۟ وَهُمْ كُفَّارٌۭ فَلَن يُقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِم مِّلْءُ ٱلْأَرْضِ ذَهَبًۭا وَلَوِ ٱفْتَدَىٰ بِهِۦٓ ۗ أُو۟لَـٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ وَمَا لَهُم مِّن نَّـٰصِرِينَ ٩١
আয়াত-৯১: নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং কাফের অবস্থায়ই যাদের মৃত্যু ঘটেছে, তাদের কারো কাছ থেকে পৃথিবীপূর্ণ স্বর্ণও কখনো কবুল করা হবে না, যদিও তারা তা কুফরীর বিনিময় দিতে চায়। এদেরই জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব থাকবে না এদের জন্য কোন সাহায্যকারী।
لَن تَنَالُوا۟ ٱلْبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُوا۟ مِمَّا تُحِبُّونَ ۚ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِن شَىْءٍۢ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌۭ ٩٢
আয়াত-৯২: তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করবে না যে পর্যন্ত না নিজেদের প্রিয়বস্তু থেকে ব্যয় করবে, আর যা কিছু তোমরা ব্যয় কর, আল্লাহ তো তা খুব জানেন।
كُلُّ ٱلطَّعَامِ كَانَ حِلًّۭا لِّبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ إِلَّا مَا حَرَّمَ إِسْرَٰٓءِيلُ عَلَىٰ نَفْسِهِۦ مِن قَبْلِ أَن تُنَزَّلَ ٱلتَّوْرَىٰةُ ۗ قُلْ فَأْتُوا۟ بِٱلتَّوْرَىٰةِ فَٱتْلُوهَآ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ ٩٣
আয়াত-৯৩: সব খাদ্যই বনী ইসরাঈলের জন্য হালাল ছিল তাছাড়া, যা ইয়াকুব নিজের জন্য হারাম করেছিল তাওরাত নাযিল হওয়ার পূর্বে। বলুন, তাওরাত নিয়ে এস এবং তা পাঠ কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
فَمَنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ ٩٤
আয়াত-৯৪: সুতরাং এরপরও যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করবে তারাই প্রকৃত জালিম।
قُلْ صَدَقَ ٱللَّهُ ۗ فَٱتَّبِعُوا۟ مِلَّةَ إِبْرَٰهِيمَ حَنِيفًۭا وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ٩٥
আয়াত-৯৫: বলুন, আল্লাহ সত্য বলেছেন। অতএব তোমরা মিল্লাতে ইব্রাহীমের অনুসরণ কর, যাতে কোন বক্রতা নেই। ইব্রাহীম মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍۢ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِى بِبَكَّةَ مُبَارَكًۭا وَهُدًۭى لِّلْعَـٰلَمِينَ ٩٦
আয়াত-৯৬: নিশ্চয় সর্বপ্রথম যে ঘর মানুষের জন্য স্থাপিত হয়েছিল তা তো সে ঘর যা মক্কায় অবস্থিত যা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়াত।
فِيهِ ءَايَـٰتٌۢ بَيِّنَـٰتٌۭ مَّقَامُ إِبْرَٰهِيمَ ۖ وَمَن دَخَلَهُۥ كَانَ ءَامِنًۭا ۗ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلْبَيْتِ مَنِ ٱسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًۭا ۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ عَنِ ٱلْعَـٰلَمِينَ ٩٧
আয়াত-৯৭: এতে রয়েছে অনেক প্রকাশ্য নিদর্শন, মাকামে ইব্রাহীম’ তার অন্যতম। যে কেউ এ ঘরে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে তার উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ্জ করা ফরয যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে। কিন্তু কেউ কুফরী করলে সে জেনে রাখুক নিশ্চয় আল্লাহ্ সারাজাহান থেকে বেনিয়াজ__অমুখাপেক্ষী।
قُلْ يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ شَهِيدٌ عَلَىٰ مَا تَعْمَلُونَ ٩٨
আয়াত-৯৮: বলুন, হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা আল্লাহর এ আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান কর? তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তার সাক্ষী।
قُلْ يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لِمَ تَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ تَبْغُونَهَا عِوَجًۭا وَأَنتُمْ شُهَدَآءُ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ٩٩
আয়াত-৯৯: বলুন, হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা তাদের আল্লাহর পথে বাধা দাও, যারা ঈমান এনেছে, তাতে বক্রতা অনুপ্রবেশ করানোর পন্থা অন্বেষণ করে, অথচ তোমরা এর সত্যতার সাক্ষ্য বহনকারী। আর তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تُطِيعُوا۟ فَرِيقًۭا مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ يَرُدُّوكُم بَعْدَ إِيمَـٰنِكُمْ كَـٰفِرِينَ ١٠٠
আয়াত-১০০: হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা যদি আহলে কিতাবের কোন দলের কথা মান, তবে তারা তোমাদের ঈমান আনার পর আবার কাফেরে পরিণত করে দেবে।