Surah Ali ‘Imran/ সূরা আলে-ইমরান
(আয়াত: ২৬-৫০)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
قُلِ ٱللَّهُمَّ مَـٰلِكَ ٱلْمُلْكِ تُؤْتِى ٱلْمُلْكَ مَن تَشَآءُ وَتَنزِعُ ٱلْمُلْكَ مِمَّن تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَآءُ ۖ بِيَدِكَ ٱلْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ ٢٦
আয়াত-২৬: বলুনঃ হে আল্লাহ! তুমিই মালিক সার্বভৌম শক্তির। তুমি যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছে রাজ্য কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছে তুমি সম্মানিত কর এবং যাকে ইচ্ছে অপমানিত কর। সকল কল্যাণ তোমারই হাতে। নিশ্চয় তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
تُولِجُ ٱلَّيْلَ فِى ٱلنَّهَارِ وَتُولِجُ ٱلنَّهَارَ فِى ٱلَّيْلِ ۖ وَتُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّ ۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍۢ ٢٧
আয়াত-২৭: তুমিই প্রবেশ করাও রাতকে দিনের ভেতরে এবং দিনকে রাতের ভেতরে। তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন, আবার মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। যাকে চাও তুমি অপরিমিত রিযিক দান কর।
لَّا يَتَّخِذِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلْكَـٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ ٱللَّهِ فِى شَىْءٍ إِلَّآ أَن تَتَّقُوا۟ مِنْهُمْ تُقَىٰةًۭ ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥ ۗ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلْمَصِيرُ ٢٨
আয়াত-২৮: মু’মিনরা যেন কাফেরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে মুমিনদের বন্ধুত্ব ছেড়ে। যে কেউ এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তাদের তরফ থেকে কোন অনিষ্টের আশংকা কর, তাহলে ব্যতিক্রম। আর আল্লাহ তার সত্তা সর্ম্পকে তোমাদের সতর্ক করেছেন। আল্লাহরই দিকে ফিরে যেতে হবে।
قُلْ إِن تُخْفُوا۟ مَا فِى صُدُورِكُمْ أَوْ تُبْدُوهُ يَعْلَمْهُ ٱللَّهُ ۗ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ ٢٩
আয়াত-২৯: বলে দিনঃ তোমাদের অন্তরে যা আছে, তোমরা যদি তা গোপন রাখ অথবা ব্যক্ত কর, আল্লাহ তা জানেন এবং যা কিছু আছে আসমানে ও যা কিছু আছে জমিনে তাও তিনি জানেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍۢ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍۢ مُّحْضَرًۭا وَمَا عَمِلَتْ مِن سُوٓءٍۢ تَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهُۥٓ أَمَدًۢا بَعِيدًۭا ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥ ۗ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ ٣٠
আয়াত-৩০: যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের কৃত ভাল কাজসমূহ সামনে উপস্থিত পাবে এবং সে যে মন্দ কাজ করেছে তাও পাবে, সেদিন সে ব্যক্তি তার ও সেসব মন্দ কাজের মধ্যে দূর ব্যবধান কামনা করবে। আল্লাহ নিজের সত্তা সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করছেন। আর আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মমতাময়।
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ ٱللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٣١
আয়াত-৩১: আপনি বলে দিনঃ যদি তোমরা প্রকৃতই আল্লাহকে ভালবাস তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
قُلْ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ ۖ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٣٢
আয়াত-৩২: বলে দিনঃ তোমরা অনুসরণ কর আল্লাহর এবং রাসূলের। তবে যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রেখ, আল্লাহ কাফেরদের ভালবাসেন না।
إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰٓ ءَادَمَ وَنُوحًۭا وَءَالَ إِبْرَٰهِيمَ وَءَالَ عِمْرَٰنَ عَلَى ٱلْعَـٰلَمِينَ ٣٣
আয়াত-৩৩: নিশ্চয় আল্লাহ মনোনীত করেছেন আদমকে, নুহকে, ইবরাহীমের বংশধরকে এবং ইমরানের বংশধরকে বিশ্ববাসীর জন্য।
ذُرِّيَّةًۢ بَعْضُهَا مِنۢ بَعْضٍۢ ۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ٣٤
আয়াত-৩৪: তারা একে অন্যের সন্তান। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
إِذْ قَالَتِ ٱمْرَأَتُ عِمْرَٰنَ رَبِّ إِنِّى نَذَرْتُ لَكَ مَا فِى بَطْنِى مُحَرَّرًۭا فَتَقَبَّلْ مِنِّىٓ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ ٣٥
আয়াত-৩৫: স্মরণ কর, ইমরানের স্ত্রী যখন বলেছিলঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি মানত করলাম তোমার জন্য যা আছে আমার গর্ভে সবকিছু থেকে মুক্ত রেখে, সুতরাং আমার কাছ থেকে তা কবুল কর। তুমি তো সব শুন, সব জান।
فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّى وَضَعْتُهَآ أُنثَىٰ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ وَلَيْسَ ٱلذَّكَرُ كَٱلْأُنثَىٰ ۖ وَإِنِّى سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَإِنِّىٓ أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ ٱلشَّيْطَـٰنِ ٱلرَّجِيمِ ٣٦
আয়াত-৩৬: তারপর যখন সে তাকে প্রসব করল, তখন সে বললঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! আমি তো এক কন্যা প্রসব করেছি। আসলে সে কি প্রসব করেছে আল্লাহ তা খুব ভালই জানেন__যে ছেলে সে কামনা করেছিল, সে ছেলে এ কন্যার সমকক্ষ নয়। __আর আমি তার নাম রেখেছি মরিয়ম এবং তাকে ও তার সন্তানদের তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করছি অভিশপ্ত শয়তানের কবল থেকে বাচার জন্য।
فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍۢ وَأَنۢبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًۭا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا ۖ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا ٱلْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًۭا ۖ قَالَ يَـٰمَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَـٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ ٣٧
আয়াত-৩৭: অতঃপর তার পালনকর্তা মরিয়মকে উত্তমরূপে গ্রহণ করলেন এবং উত্তমরূপে তাকে লালন-পালন করার ব্যবস্থা করলেন আর তার অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তিনি যাকারিয়াকে দিলেন। যখনই যাকারিয়া মরিয়মের কক্ষে যেত তখনই তার কাছে কিছু পানাহারের বস্তু দেখতে পেত। সে জিজ্ঞেস করত: হে মরিয়ম এসব কোথা থেকে তোমার কাছে এল? সে বলত: এসব আল্লাহর কাছ থেকে আসে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন বেহিসেব রিযিক দান করেন।
هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُۥ ۖ قَالَ رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةًۭ طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ ٣٨
আয়াত-৩৮: সেখানেই যাকারিয়া তার পালনকর্তার কাছে প্রার্থনা করে বললঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! তুমি আমাকে তোমার কাছ থেকে পূত-পবিত্র সন্তান দান কর। তুমিই তো শ্রেষ্ঠ প্রার্থনা শ্রবণকারী।
فَنَادَتْهُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٌۭ يُصَلِّى فِى ٱلْمِحْرَابِ أَنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحْيَىٰ مُصَدِّقًۢا بِكَلِمَةٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ وَسَيِّدًۭا وَحَصُورًۭا وَنَبِيًّۭا مِّنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ٣٩
আয়াত-৩৯: তারপর যখন সে মেহরাবে দাড়িয়ে নামায পড়ছিল, তখন ফেরেশতারা তাকে ডেকে বলল: আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহ̖ইয়ার; সে হবে আল্লাহর বাণীর সত্যায়নকারী, নেতা, জিতেন্দ্রিয় এবং নেককারদের মধ্য থেকে একজন নবী।
قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى غُلَـٰمٌۭ وَقَدْ بَلَغَنِىَ ٱلْكِبَرُ وَٱمْرَأَتِى عَاقِرٌۭ ۖ قَالَ كَذَٰلِكَ ٱللَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ ٤٠
আয়াত-৪০: যাকারিয়া বলল: হে আমার পরওয়ারদেগার কেমন করে আমার পুত্র হবে? আমার তো বাৰ্ধক্য এসে গেছে এবং আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা। আল্লাহ বললেন; এ অবস্থাতেই হবে। আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তা করে দেন।
قَالَ رَبِّ ٱجْعَل لِّىٓ ءَايَةًۭ ۖ قَالَ ءَايَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ ٱلنَّاسَ ثَلَـٰثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا رَمْزًۭا ۗ وَٱذْكُر رَّبَّكَ كَثِيرًۭا وَسَبِّحْ بِٱلْعَشِىِّ وَٱلْإِبْكَـٰرِ ٤١
আয়াত-৪১: সে বললঃ হে আমার পরওয়ারদেগার! আমার জন্য কিছু লক্ষণ দাও। আল্লাহ বললেন: তোমার লক্ষণ এই যে, তুমি তিন দিন পর্যন্ত লোকের সাথে কথা বলতে পারবে না, তবে ইশারা-ইংগিতে পারবে। আর তোমার পালনকর্তাকে বেশি করে স্মরণ করবে এবং সন্ধ্যায় ও সকালে তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে।
وَإِذْ قَالَتِ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ يَـٰمَرْيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰكِ وَطَهَّرَكِ وَٱصْطَفَىٰكِ عَلَىٰ نِسَآءِ ٱلْعَـٰلَمِينَ ٤٢
আয়াত-৪২: আর স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বললঃ হে মরিয়ম আল্লাহ তোমাকে বেছে নিয়েছেন, পবিত্র করেছেন এবং তোমাকে বিশ্বনারী সমাজের উর্ধ্বে মনোনীত করেছেন।
يَـٰمَرْيَمُ ٱقْنُتِى لِرَبِّكِ وَٱسْجُدِى وَٱرْكَعِى مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ ٤٣
আয়াত-৪৩: হে মরিয়ম! তুমি আনুগত্য কর তোমার পালনকর্তার এবং সিজদা কর আর রুকূ’কারীদের সাথে রুকূ কর।
ذَٰلِكَ مِنْ أَنۢبَآءِ ٱلْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ ۚ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَـٰمَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ ٤٤
আয়াত-৪৪: এসব হলো গায়েবী সংবাদ যা আমি আপনাকে ঐশী বাণী দিয়ে জানাই। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন না যখন তারা নিজ নিজ কলম নিক্ষেপ করছিল এ উদ্দেশ্যে যে, তাদের মধ্য থেকে মরিয়মের অভিভাবক কে হবে তা নির্ধারণ করতে। তারা যখন নিজেরা বাদানুবাদ করছিল তখনও আপনি তাদের কাছে ছিলেন না।
إِذْ قَالَتِ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ يَـٰمَرْيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍۢ مِّنْهُ ٱسْمُهُ ٱلْمَسِيحُ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًۭا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ وَمِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ ٤٥
আয়াত-৪৫: স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বললঃ হে মরিয়ম! নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর তরফ থেকে তোমাকে একটি কলেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, তার নাম মসীহ ঈসা ইবন মরিয়ম, সে সম্মানিত দুনিয়া ও আখেরাতে এবং সে আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্যতম।
وَيُكَلِّمُ ٱلنَّاسَ فِى ٱلْمَهْدِ وَكَهْلًۭا وَمِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ٤٦
আয়াত-৪৬: সে মানুষের সাথে কথা বলবে দোলনায় থাকা অবস্থায় এবং প্রাপ্তবয়সেও এবং সে হবে নেককারদের অন্যতম।
قَالَتْ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى وَلَدٌۭ وَلَمْ يَمْسَسْنِى بَشَرٌۭ ۖ قَالَ كَذَٰلِكِ ٱللَّهُ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ ۚ إِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًۭا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ ٤٧
আয়াত-৪৭: মরিয়ম বললঃ হে আমাদের পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে, অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি। আল্লাহ বললেনঃ এভাবেই হবে। আল্লাহ সৃষ্টি করেন যা ইচ্ছে করেন। যখন তিনি কোন কাজ করতে মনস্থ করেন তখন তাকে শুধু বলেন “হও”, অমনি তা হয়ে যায়।
وَيُعَلِّمُهُ ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ ٤٨
আয়াত-৪৮: আর তিনি সে সন্তানকে শিখিয়ে দেবেন কিতাব, হেকমত, তাওরাত ও ইন্জীল।
وَرَسُولًا إِلَىٰ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ أَنِّى قَدْ جِئْتُكُم بِـَٔايَةٍۢ مِّن رَّبِّكُمْ ۖ أَنِّىٓ أَخْلُقُ لَكُم مِّنَ ٱلطِّينِ كَهَيْـَٔةِ ٱلطَّيْرِ فَأَنفُخُ فِيهِ فَيَكُونُ طَيْرًۢا بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۖ وَأُبْرِئُ ٱلْأَكْمَهَ وَٱلْأَبْرَصَ وَأُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۖ وَأُنَبِّئُكُم بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِى بُيُوتِكُمْ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَةًۭ لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ٤٩
আয়াত-৪৯: এবং তাকে বনী ইসরাঈলের জন্য রাসূল হিসেবে মনোনীত করবেন। সে বলবেঃ আমি তো তোমাদের কাছে এসেছি তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে নিদর্শন নিয়ে। তা এই যে, তোমাদের জন্য আমি কাদামাটি দিয়ে পাখির আকৃতির ন্যায় আকার গঠন করব, তারপর তাতে ফুৎকার দেব, ফলে তা আল্লাহর হুকুমে উড়ন্ত পাখিতে পরিণত হবে। আর আমি আরোগ্য করব জন্মান্ধকে ও শ্বেতকুষ্ঠ রোগীকে এবং জীবিত করব মৃতকে আল্লাহর হুকুমে। আর আমি তোমাদের বলে দেব যা তোমরা খাও এবং যা তোমরা তোমাদের ঘরে মওজুদ কর। নিশ্চয় এতে রয়েছে যথেষ্ট প্রমাণ তোমাদের জন্য যদি তোমরা মুমিন হও!
وَمُصَدِّقًۭا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى حُرِّمَ عَلَيْكُمْ ۚ وَجِئْتُكُم بِـَٔايَةٍۢ مِّن رَّبِّكُمْ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ٥٠
আয়াত-৫০: আর আমি এসেছি আমার সামনে তাওরাতে যা আছে তার সত্যায়নকারীরূপে এবং তোমাদের জন্য কতিপয় বস্তু হালাল করার জন্য যা তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছিল। আর আমি তোমাদের কাছে এসেছি নিদর্শন নিয়ে তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে। সুতরাং তোমরা ভয় কর আল্লাহকে এবং অনুসরণ কর আমাকে।