Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ১০১-১২৫)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِـۧمُ رَبِّ ٱجْعَلْ هَـٰذَا بَلَدًا ءَامِنًۭا وَٱرْزُقْ أَهْلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ مَنْ ءَامَنَ مِنْهُم بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ ۖ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُۥ قَلِيلًۭا ثُمَّ أَضْطَرُّهُۥٓ إِلَىٰ عَذَابِ ٱلنَّارِ ۖ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ ١٢٦
আয়াত-১২৬: ম্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলেছিল: হে আমার পালনকর্তা! এ জায়গাকে তুমি নিরাপদ শহর কর এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান রাখে ফলমূল দিয়ে তাদের জীবিকা দান কর। তিনি বললেনঃ যে কেউ কুফর করে তাকেও কিছুকালের জন্য জীবন উপভোগ করতে দেব। অবশেষে তাবে দোযখের শাস্তি ভোগ করতে ঠেলে দেব। তা কতইনা নিকৃষ্ট পরিনাম!
وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَٰهِـۧمُ ٱلْقَوَاعِدَ مِنَ ٱلْبَيْتِ وَإِسْمَـٰعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ ١٢٧
আয়াত-১২৭: স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবা ঘরের ভিত নির্মাণ করছিল তখন তারা দোয়া করেছিল: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এ প্রয়াস কবুল কর, নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।
رَبَّنَا وَٱجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةًۭ مُّسْلِمَةًۭ لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ ١٢٨
আয়াত-১২৮: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উভয়কে বানাও তোমার প্রতি পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী এবং আমাদের বংশধর থেকেও তোমার প্রতি আত্মসমর্পণকারী এক উম্মত বানাও। এবং দেখিয়ে দাও আমাদের হজ্জের নিয়ম-পদ্ধতি এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হও। নিশ্চয়ই তুমি পরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
رَبَّنَا وَٱبْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًۭا مِّنْهُمْ يَتْلُوا۟ عَلَيْهِمْ ءَايَـٰتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ١٢٩
আয়াত-১২৯: হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে একজন রাসূল প্রেরণ কর, যে তোমার আয়াতসমূহ তাদের কাছে আবৃত্তি করবে, তাদের কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَٰهِـۧمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفْسَهُۥ ۚ وَلَقَدِ ٱصْطَفَيْنَـٰهُ فِى ٱلدُّنْيَا ۖ وَإِنَّهُۥ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ١٣٠
আয়াত-১৩০: ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ থেকে কে বিমুখ হবে সে ছাড়া যে নিজেকে নির্বোধ প্রতিপন্ন করেছে? আমি তো তাকে পৃথিবীতে মনোনীত করেছি এবং আখেরাতেও সে সৎকম˝পরায়নদের অর্ন্তভুক্ত।
إِذْ قَالَ لَهُۥ رَبُّهُۥٓ أَسْلِمْ ۖ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٣١
আয়াত-১৩১: যখন তার পালনকর্তা তাকে বললেনঃ আত্মসমর্পণ কর, তখন সে বলল : আমি আত্মসমর্পণ করলাম বিশ্বপালকের কাছে।
وَوَصَّىٰ بِهَآ إِبْرَٰهِـۧمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَـٰبَنِىَّ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰ لَكُمُ ٱلدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ ١٣٢
আয়াত-১৩২: আর এরই অসিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও: হে পুত্ৰগণ! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ দ্বীনকে মনোনীত করেছেন। সুতরাং তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ কর না।
أَمْ كُنتُمْ شُهَدَآءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ ٱلْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِنۢ بَعْدِى قَالُوا۟ نَعْبُدُ إِلَـٰهَكَ وَإِلَـٰهَ ءَابَآئِكَ إِبْرَٰهِـۧمَ وَإِسْمَـٰعِيلَ وَإِسْحَـٰقَ إِلَـٰهًۭا وَٰحِدًۭا وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ ١٣٣
আয়াত-১৩৩: যখন ইয়াকুবের মৃত্যু উপস্থিত হল, তোমরা কি তখন সেখানে ছিলে? সে যখন পুত্রদের জিজ্ঞেস করলঃ আমার পরে তোমরা কার ইবাদত করবে? তখন তারা বললঃ আমরা ইবাদত করব আপনার ইলাহ-এর এবং আপনার পিতৃ-পুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহ-এর ইবাদত করব। তিনি তো একমাত্র ইলাহ। আমরা সবাই তার কাছে আত্মসমৰ্পণকারী।
تِلْكَ أُمَّةٌۭ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ١٣٤
আয়াত-১৩৪: তারা ছিল এক উন্মত যারা অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে তা তাদের, আর তোমরা যা কর তা তোমাদের। তারা যা করত সে ব্যাপারে তোমাদের কোন প্রশ্ন করা হবে না।
وَقَالُوا۟ كُونُوا۟ هُودًا أَوْ نَصَـٰرَىٰ تَهْتَدُوا۟ ۗ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَٰهِـۧمَ حَنِيفًۭا ۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ١٣٥
আয়াত-১৩৫: তারা বলে: তোমরা ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান হয়ে যাও, সঠিক পথ পাবে। আপনি বলুনঃ বরং আমরা একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করব। আর সে তো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
قُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِـۧمَ وَإِسْمَـٰعِيلَ وَإِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ ١٣٦
আয়াত-১৩৬: তোমরা বল: আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি, এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের প্রতি এবং যা দেয়া হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা দেয়া হয়েছে অন্যান্য নবীদের তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে। আমরা তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। আর আমরা তারই কাছে আত্মসমর্পণকারী।
فَإِنْ ءَامَنُوا۟ بِمِثْلِ مَآ ءَامَنتُم بِهِۦ فَقَدِ ٱهْتَدَوا۟ ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا هُمْ فِى شِقَاقٍۢ ۖ فَسَيَكْفِيكَهُمُ ٱللَّهُ ۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ ١٣٧
আয়াত-১৩৭: অতএব তারা যদি ঈমান আনে তোমাদের ঈমান আনার মত, তাহলে নিশ্চয় তারা সৎপথ পাবে। কিন্তু যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে অবশ্যই তারা রয়েছে হঠকারিতায়। কাজেই এখন তাদের ব্যাপারে আপনার জন্য আল্লাহই যথথেষ্ট। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।
صِبْغَةَ ٱللَّهِ ۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبْغَةًۭ ۖ وَنَحْنُ لَهُۥ عَـٰبِدُونَ ١٣٨
আয়াত-১৩৮: আমরা গ্রহণ করলাম আল্লহর রং। আল্লহর রং-এর চেয়ে উত্তম রং আর কর হতে পারে? আর আমরা তারই ইবাদত কর।
قُلْ أَتُحَآجُّونَنَا فِى ٱللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَآ أَعْمَـٰلُنَا وَلَكُمْ أَعْمَـٰلُكُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُخْلِصُونَ ١٣٩
আয়াত-১৩৯: আপনি বলুনঃ তোমরা কি আমাদের সঙ্গে আল্লাহ সম্বন্ধে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাও? অথচ তিনি আমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা আর আমাদের জন্য আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। আমরা তার জন্য নিবেদিত।
أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَٰهِـۧمَ وَإِسْمَـٰعِيلَ وَإِسْحَـٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطَ كَانُوا۟ هُودًا أَوْ نَصَـٰرَىٰ ۗ قُلْ ءَأَنتُمْ أَعْلَمُ أَمِ ٱللَّهُ ۗ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَـٰدَةً عِندَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ١٤٠
আয়াত-১৪০: তোমরা কি বল যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধররা ইহুদী কিংবা খ্রিষ্টান ছিল? আপনি বলুনঃ তোমরা বেশি জান, না আল্লাহ? তার চেয়ে অধিক জালিম কে হতে পারে যে গোপন করে তার কাছে আল্লাহ̖র পক্ষ থেকে যে প্রমাণ আছে তা। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন।
تِلْكَ أُمَّةٌۭ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ١٤١
আয়াত-১৪১: তারা ছিল এক উম্মত, অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে তা তাদের জন্য এবং তোমরা যা করছ তা তোমাদের জন্য। তারা যা করছে সে সম্বন্ধে তোমাদের কোন প্রশ্ন করা হবে না।
سَيَقُولُ ٱلسُّفَهَآءُ مِنَ ٱلنَّاسِ مَا وَلَّىٰهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ ٱلَّتِى كَانُوا۟ عَلَيْهَا ۚ قُل لِّلَّهِ ٱلْمَشْرِقُ وَٱلْمَغْرِبُ ۚ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍۢ مُّسْتَقِيمٍۢ ١٤٢
আয়াত–১৪২: অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবে: কিসে ফিরিয়ে দিল তাদের সে কেবল থেকে, যে কেবল তারা এ যাবত অনুসরণ করে আসছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَـٰكُمْ أُمَّةًۭ وَسَطًۭا لِّتَكُونُوا۟ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًۭا ۗ وَمَا جَعَلْنَا ٱلْقِبْلَةَ ٱلَّتِى كُنتَ عَلَيْهَآ إِلَّا لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ ٱلرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ ۚ وَإِن كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُ ۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَـٰنَكُمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٌۭ رَّحِيمٌۭ ١٤٣
আয়াত-১৪৩: আর এভাবে আমি তোমাদের করেছি এক মধ্যপন্থী জাতি যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষ্যদাতা হও এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা হন। আপনি যে কেবলার এ যাবত অনুসরণ করছিলেন তাকে আমি এজন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি-কে রাসূলের অনুসরণ করে, আর কে পিঠটান দেয়? আল্লাহ যাদের সৎপথ প্রদর্শন করেছেন তাদের ছাড়া অন্যদের কাছে এটা নিশ্চিত কঠোরতর বিষয়। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু।
قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِى ٱلسَّمَآءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةًۭ تَرْضَىٰهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُۥ ۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ ١٤٤
আয়াত-১৪৪: বার বার আকাশের দিকে আপনার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি। কাজেই এমন কেবলার দিকে আমি আপনাকে ফিরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি আল-মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরান। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন সেদিকে মুখ কর। আর যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, এটাই তাদের পালনকর্তার প্রেরিত সত্য। আল্লাহ সে সম্বন্ধে বেখবর নন যা তারা করে।
وَلَئِنْ أَتَيْتَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ بِكُلِّ ءَايَةٍۢ مَّا تَبِعُوا۟ قِبْلَتَكَ ۚ وَمَآ أَنتَ بِتَابِعٍۢ قِبْلَتَهُمْ ۚ وَمَا بَعْضُهُم بِتَابِعٍۢ قِبْلَةَ بَعْضٍۢ ۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ ۙ إِنَّكَ إِذًۭا لَّمِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ١٤٥
আয়াত-১৪৫: যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের কাছে আপনি সমস্ত প্রমাণ পেশ করলেও তারা আপনার কেবলার অনুসরণ করবে না, আর আপনিও তাদের কেবলা অনুসরণ করার নন। আর তারা একে অন্যের কেবলা অনুসরণ করে না। আপনি যদি আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয়ই আপনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বেন।
ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَـٰهُمُ ٱلْكِتَـٰبَ يَعْرِفُونَهُۥ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَآءَهُمْ ۖ وَإِنَّ فَرِيقًۭا مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ ٱلْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ١٤٦
আয়াত-১৪৬: যাদের আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেরূপ চেনে, যেরূপ তারা তাদের পুত্রদের চেনে। আর তাদের একদল জেনে-শুনে নিশ্চিতভাবে সত্য গোপন করে।
ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ ۖ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُمْتَرِينَ ١٤٧
আয়াত-১৪৭: প্রকৃত সত্য তো তা, যা তোমার পালনকর্তার তরফ থেকে প্রাপ্ত। কাজেই তুমি সন্দিহানদের দলভুক্ত হয়ে না।
وَلِكُلٍّۢ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا ۖ فَٱسْتَبِقُوا۟ ٱلْخَيْرَٰتِ ۚ أَيْنَ مَا تَكُونُوا۟ يَأْتِ بِكُمُ ٱللَّهُ جَمِيعًا ۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ ١٤٨
আয়াত-১৪৮: আর প্রত্যেকেরই রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে মুখ করে। সুতরাং তোমরা সৎকাজে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাও। যেখানেই তোমরা থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে একত্রে সমবেত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۖ وَإِنَّهُۥ لَلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ١٤٩
আয়াত-১৪৯: যেখান থেকেই তুমি বের হও না কেন, তোমার মুখ আল-মসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও। নিশ্চয় এটা হল তোমার পালনকর্তার তরফ থেকে অবধারিত সত্য। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন।
وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُۥ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيْكُمْ حُجَّةٌ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْهُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَٱخْشَوْنِى وَلِأُتِمَّ نِعْمَتِى عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ ١٥٠
আয়াত-১৫০: এবং যেখান থেকেই তুমি বের হও না কেন, তোমার মুখ আল-মসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন সেদিকেই মুখ ফেরাবে, যাতে মানুষের কোন অবকাশ না থাকে তোমাদের বিরুদ্ধে বিতর্ক করার, তাদের মধ্যে যারা জালিম তাদের কথা আলাদা। অতএব তাদের ভয় কর না, কেবল আমাকেই ভয় কর, যাতে আমি আমার অনুগ্রহ পূর্ণরূপে তোমাদের দান করতে পারি এবং তোমরা সৎপথে পরিচালিত হতে পার।