Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ১০১-১২৫)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
وَلَمَّا جَآءَهُمْ رَسُولٌۭ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٌۭ لِّمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌۭ مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَـٰبَ كِتَـٰبَ ٱللَّهِ وَرَآءَ ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ ١٠١
আয়াত-১০১: আর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের কাছে একজন রাসূল এল, যে তাদের কাছে যা আছে তার সমর্থক, তখন যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের একদল আল্লাহর কিতাবকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল, যেন তারা জানেই না।
وَٱتَّبَعُوا۟ مَا تَتْلُوا۟ ٱلشَّيَـٰطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَـٰنَ ۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَـٰنُ وَلَـٰكِنَّ ٱلشَّيَـٰطِينَ كَفَرُوا۟ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحْرَ وَمَآ أُنزِلَ عَلَى ٱلْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَـٰرُوتَ وَمَـٰرُوتَ ۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌۭ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيْنَ ٱلْمَرْءِ وَزَوْجِهِۦ ۚ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِۦ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنفَعُهُمْ ۚ وَلَقَدْ عَلِمُوا۟ لَمَنِ ٱشْتَرَىٰهُ مَا لَهُۥ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ مِنْ خَلَـٰقٍۢ ۚ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا۟ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمْ ۚ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ ١٠٢
আয়াত-১০২: তারা তা অনুসরণ করল যা শয়তানরা করত সুলায়মানের রাজত্বকালে। সুলায়মান কুফর করেনি, বরং শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে যাদু এবং বাবেল শহরে হারূত ও মারত ফেরেশতাদ্বয়ের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিখাত। তারা কাউকে একথা না বলে শিখাত না যে, “আমরা পরীক্ষাস্বরূপ, কাজেই তুমি কুফরী কর না।” তারা তাদের কাছ থেকে এমন যাদু শিখত যা বিচ্ছেদ ঘটাত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। আর তারা আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না। তারা শিখত এমন কিছু যা তাদের ক্ষতি করত এবং কোন উপকার করতে পারত না। আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে, যে কেউ অবলম্বন করে পরকালে তার কোন অংশ নেই। কতইনা নিকৃষ্ট তা যার বিনিময়ে তারা আত্মাকে বিক্রি করছে, যদি তারা জানত!
وَلَوْ أَنَّهُمْ ءَامَنُوا۟ وَٱتَّقَوْا۟ لَمَثُوبَةٌۭ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ خَيْرٌۭ ۖ لَّوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ ١٠٣
আয়াত-১০৩: যদি তারা ঈমান আনত ও মোত্তাকী হত, তবে তারা আল্লাহর কাছ থেকে অধিক কল্যাণকর প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقُولُوا۟ رَٰعِنَا وَقُولُوا۟ ٱنظُرْنَا وَٱسْمَعُوا۟ ۗ وَلِلْكَـٰفِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ١٠٤
আয়াত-১০৪: ওহে তোমরা যারা ঈমান এনছ! তোমরা ‘রায়েনা’ বল না বরং ‘উন̖যুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্য রয়েছে মর্মন্তদ শাস্তি।
مَّا يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ وَلَا ٱلْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍۢ مِّن رَّبِّكُمْ ۗ وَٱللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِۦ مَن يَشَآءُ ۚ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ ١٠٥
আয়াত-১০৫: কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফের তারা এবং মুশরিকরা চায় না যে, তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষভাবে নিজ অনুগ্রহের জন্য মনোনীত করেন, এবং আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।
مَا نَنسَخْ مِنْ ءَايَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍۢ مِّنْهَآ أَوْ مِثْلِهَآ ۗ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌ ١٠٦
আয়াত-১০৬: আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা ভুলিয়ে দিলে তার চেয়ে উত্তম অথবা তার সমতুল্য কোন আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান?
أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۗ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّۢ وَلَا نَصِيرٍ ١٠٧
আয়াত-১০৭: তুমি কি জান না যে, একমাত্র আল্লাহর জন্যই আসমান ও জমিনের আধিপত্য? আর আল্লাহ ব্যতিরেকে তোমাদের নেই কোন বন্ধু এবং নেই কোন সাহায্যকারী।
أَمْ تُرِيدُونَ أَن تَسْـَٔلُوا۟ رَسُولَكُمْ كَمَا سُئِلَ مُوسَىٰ مِن قَبْلُ ۗ وَمَن يَتَبَدَّلِ ٱلْكُفْرَ بِٱلْإِيمَـٰنِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ ١٠٨
আয়াত-১০৮: তোমরা কি তোমাদের রাসূলকে সেরূপ প্রশ্ন করতে চাও যেরূপ প্রশ্ন করা হয়েছিল মূসাকে ইতিপূর্বে? যে কেউ ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহণ করে, সে নিশ্চিতভাবে সরল পথ হারায়।
وَدَّ كَثِيرٌۭ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّنۢ بَعْدِ إِيمَـٰنِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًۭا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّنۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ ٱلْحَقُّ ۖ فَٱعْفُوا۟ وَٱصْفَحُوا۟ حَتَّىٰ يَأْتِىَ ٱللَّهُ بِأَمْرِهِۦٓ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍۢ قَدِيرٌۭ ١٠٩
আয়াত-১০৯: কিতাবীদের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের অনেকেই ঈর্ষাবশত তোমাদের ঈমান আনার পর আবার তোমাদের কাফেররূপে ফিরে পাওয়ার আকাঙক্ষা করে। যতক্ষণ না আল্লাহর কোন নির্দেশ আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।
وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ ۚ وَمَا تُقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍۢ تَجِدُوهُ عِندَ ٱللَّهِ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌۭ ١١٠
আয়াত-১১০: তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও তোমরা নিজেদের জন্য উত্তম কাজের যা কিছু পূর্বে প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
وَقَالُوا۟ لَن يَدْخُلَ ٱلْجَنَّةَ إِلَّا مَن كَانَ هُودًا أَوْ نَصَـٰرَىٰ ۗ تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ ۗ قُلْ هَاتُوا۟ بُرْهَـٰنَكُمْ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ ١١١
আয়াত-১১১: আর তারা বলে: ইহুদী বা খ্রিষ্টান ছাড়া অন্য কেউ বেহেশতে প্রবেশ করবে না। এটা তাদের অলীক বাসনা। আপনি বলুন: যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ নিয়ে এস।
بَلَىٰ مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌۭ فَلَهُۥٓ أَجْرُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ ١١٢
আয়াত –১১২: হাঁ, যে কেউ নিজেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণরূপে সমৰ্পণ করে এবং সে সৎকর্মপরায়ণও, তার জন্য রয়েছে তার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার। তাদের নেই কোন ভয় এবং তারা দুঃখিতও হবে না।
وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ لَيْسَتِ ٱلنَّصَـٰرَىٰ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَقَالَتِ ٱلنَّصَـٰرَىٰ لَيْسَتِ ٱلْيَهُودُ عَلَىٰ شَىْءٍۢ وَهُمْ يَتْلُونَ ٱلْكِتَـٰبَ ۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ ۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ ١١٣
আয়াত-১১৩: ইহুদীরা বলে, খ্রিস্টানরা কোন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং খ্রিস্টানরা বলে, ইহুদীরা কোন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। অথচ তারা সবাই কিতাব পাঠ করে। এভাবেই যারা কিছু জানে না তারাও ওদের মতই বলে। সুতরাং যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সে বিষয়ে ফয়সালা করে দিবেন।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَـٰجِدَ ٱللَّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا ٱسْمُهُۥ وَسَعَىٰ فِى خَرَابِهَآ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَآ إِلَّا خَآئِفِينَ ۚ لَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا خِزْىٌۭ وَلَهُمْ فِى ٱلْـَٔاخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌۭ ١١٤
আয়াত-১১৪: যে ব্যক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তার নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলো ধ্বংস করতে চেষ্টা করে, তার চেয়ে বড় জালিম কে হতে পারে? অথচ ভীত-সন্ত্রস্ত না হয়ে তাদের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা বৈধ ছিল না। তাদের জন্য রয়েছে পৃথিবীতে লাঞ্ছনা এবং আখেরাতে রয়েছে তাদের জন্য মহাশাস্তি।
وَلِلَّهِ ٱلْمَشْرِقُ وَٱلْمَغْرِبُ ۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا۟ فَثَمَّ وَجْهُ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ ١١٥
আয়াত-১১৫: পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী সব́জ্ঞ।
وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ وَلَدًۭا ۗ سُبْحَـٰنَهُۥ ۖ بَل لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۖ كُلٌّۭ لَّهُۥ قَـٰنِتُونَ ١١٦
আয়াত-১১৬: আর তারা বলে: আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি অতি পবিত্র; বরং আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তা সবই তার, সবই তার আজ্ঞাবহ।
بَدِيعُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ۖ وَإِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًۭا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ ١١٧
আয়াত –১১৭: তিনি আসমান ও জমিনকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী; তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন, হয়ে যাও, অমনি তা হয়ে যায়।
وَقَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ لَوْلَا يُكَلِّمُنَا ٱللَّهُ أَوْ تَأْتِينَآ ءَايَةٌۭ ۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّثْلَ قَوْلِهِمْ ۘ تَشَـٰبَهَتْ قُلُوبُهُمْ ۗ قَدْ بَيَّنَّا ٱلْـَٔايَـٰتِ لِقَوْمٍۢ يُوقِنُونَ ١١٨
আয়াত-১১৮: যারা কিছু জানে না তারা বলে; কেন আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না; কিংবা কেন আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে না? এমনিভাবে তাদের পূর্ববতীরাও তাদেরই মত কথা বলত। তাদের অন্তর এক রকম। অবশ্যই আমি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি নিদর্শনাবলী দৃঢ় প্রত্যয়শীলদের জন্য।
إِنَّآ أَرْسَلْنَـٰكَ بِٱلْحَقِّ بَشِيرًۭا وَنَذِيرًۭا ۖ وَلَا تُسْـَٔلُ عَنْ أَصْحَـٰبِ ٱلْجَحِيمِ ١١٩
আয়াত-১১৯: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনাকে দোযখবাসীদের সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা হবে না।
وَلَن تَرْضَىٰ عَنكَ ٱلْيَهُودُ وَلَا ٱلنَّصَـٰرَىٰ حَتَّىٰ تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ ۗ قُلْ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلْهُدَىٰ ۗ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَ ٱلَّذِى جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ ۙ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّۢ وَلَا نَصِيرٍ ١٢٠
আয়াত-১২০: ইহুদী ও খ্রিস্টানরা আপনার প্রতি কখনও সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না; আপনি তাদের ধর্ম অনুসরণ করেন। বলে দিন, নিশ্চয় আল্লাহ যে পথ নির্দেশ করেন, তা-ই প্রকৃত সরল ও সঠিক পথ। জ্ঞানলাভের পর আপনি যদি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করেন, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী থাকবে না।
ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَـٰهُمُ ٱلْكِتَـٰبَ يَتْلُونَهُۥ حَقَّ تِلَاوَتِهِۦٓ أُو۟لَـٰٓئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِۦ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِهِۦ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَـٰسِرُونَ ١٢١
আয়াত-১২১: আমি যাদের কিতাব দিয়েছি, তাদের মধ্যে যারা তা যথাযথভাবে আবৃত্তি করে, তারাই তাতে বিশ্বাস করে; আর যারা তা অবিশ্বাস করে তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
يَـٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتِىَ ٱلَّتِىٓ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّى فَضَّلْتُكُمْ عَلَى ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٢٢
আয়াত-১২২: হে বনী ইসরাঈল! তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের দিয়েছি। বিশ্ববাসীর উপর আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
وَٱتَّقُوا۟ يَوْمًۭا لَّا تَجْزِى نَفْسٌ عَن نَّفْسٍۢ شَيْـًۭٔا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌۭ وَلَا تَنفَعُهَا شَفَـٰعَةٌۭ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ ١٢٣
আয়াত-১২৩: এবং তোমরা সে দিনকে ভয় কর, যে দিন কেউ কারো কোন উপকারে আসবে না এবং কারো কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করা হবে না এবং কোন সুপারিশ কারো জন্য ফলপ্ৰদ হবে না, আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
وَإِذِ ٱبْتَلَىٰٓ إِبْرَٰهِـۧمَ رَبُّهُۥ بِكَلِمَـٰتٍۢ فَأَتَمَّهُنَّ ۖ قَالَ إِنِّى جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًۭا ۖ قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِى ۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِى ٱلظَّـٰلِمِينَ ١٢٤
আয়াত-১২৪: এবং স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার পালনকর্তা কয়েকটি কথা দিয়ে পরীক্ষা করলেন, তারপর সে তা পূর্ণ করল; তখন আল্লাহ বললেনঃ আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা বানাব। সে বললঃ আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও? আল্লাহ বলেন: আমার অঙ্গীকার জালিমদের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়।
وَإِذْ جَعَلْنَا ٱلْبَيْتَ مَثَابَةًۭ لِّلنَّاسِ وَأَمْنًۭا وَٱتَّخِذُوا۟ مِن مَّقَامِ إِبْرَٰهِـۧمَ مُصَلًّۭى ۖ وَعَهِدْنَآ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِـۧمَ وَإِسْمَـٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِىَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلْعَـٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ ١٢٥
আয়াত-১২৫: এবং স্মরণ কর, যখন আমি কাবা ঘরকে মানবজাতির জন্য মিলন কেন্দ্র ও নিরাপত্তার স্থান করেছিলাম এবং বলেছিলাম: তোমরা ইবরাহীমের দাড়ানোর জায়গাকে সালাতের জায়গারূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম যে, ‘তোমরা উভয়ে আমার ঘরকে তওয়াফকার, ইতিকাফকার এবং রুকু সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।’