Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ৭৬-১০০)
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

وَإِذَا لَقُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍۢ قَالُوٓا۟ أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ ٱللَّهُ عَلَيْكُمْ لِيُحَآجُّوكُم بِهِۦ عِندَ رَبِّكُمْ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ٧٦

আয়াত-৭৬: আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে: আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তারা নিভৃতে পরস্পরের সাথে মিলিত হয় তখন বলে: আল্লাহ তোমাদের কাছে যা প্রকাশ করেছেন, তোমরা কি তা তাদের বলে দিচ্ছ? তাহলে এ নিয়ে তারা তোমাদের পালনকর্তার সামনে তোমাদের বিরুদ্ধে যুক্তি পেশ করবে। তোমরা কি বুকু না?

أَوَلَا يَعْلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ ٧٧

আয়াত-৭৭: তারা কি এতটুকুও জানে না যে, তারা যা গোপন করে কিংবা যা প্রকাশ করে, নিশ্চিতভাবে আল্লাহ তা জানেন?

وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لَا يَعْلَمُونَ ٱلْكِتَـٰبَ إِلَّآ أَمَانِىَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ ٧٨

আয়াত-৭৮: তাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যারা মিথ্যা আশা ছাড়া কিতাবের কিছুই জানে না। তারা শুধু ধারণাই পোষণ করে।

فَوَيْلٌۭ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ ٱلْكِتَـٰبَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـٰذَا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشْتَرُوا۟ بِهِۦ ثَمَنًۭا قَلِيلًۭا ۖ فَوَيْلٌۭ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌۭ لَّهُم مِّمَّا يَكْسِبُونَ ٧٩

আয়াত-৭৯: সুতরাং আফসোস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লেখে এবং বলে: এটা আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ,-যাতে এর বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য পেতে পারে। কাজেই তাদের প্রতি আক্ষেপ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য এবং তারা যা উপার্জন করেছে তার জন্যও আক্ষেপ তাদের প্রতি।

وَقَالُوا۟ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامًۭا مَّعْدُودَةًۭ ۚ قُلْ أَتَّخَذْتُمْ عِندَ ٱللَّهِ عَهْدًۭا فَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ عَهْدَهُۥٓ ۖ أَمْ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ ٨٠

আয়াত-৮০: তারা বলে: কখনও আগুন আমাদের স্পর্শ করবে না গণাগণতির কয়েক দিন ব্যতিরেকে। আপনি বলে দিন: তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছ, অতএব আল্লাহ তার অঙ্গীকার কখনও খেলাফ করবেন না কিংবা তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না?

بَلَىٰ مَن كَسَبَ سَيِّئَةًۭ وَأَحَـٰطَتْ بِهِۦ خَطِيٓـَٔتُهُۥ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ أَصْحَـٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ ٨١

আয়াত-৮১: হাঁ, যে ব্যক্তি পাপ উপার্জন করেছে এবং তার পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে নিয়েছে, এরূপ লোকেরাই দোযখের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ أُو۟لَـٰٓئِكَ أَصْحَـٰبُ ٱلْجَنَّةِ ۖ هُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ ٨٢

আয়াত-৮২: আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই বেহেশতের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ لَا تَعْبُدُونَ إِلَّا ٱللَّهَ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَانًۭا وَذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَـٰمَىٰ وَٱلْمَسَـٰكِينِ وَقُولُوا۟ لِلنَّاسِ حُسْنًۭا وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلَّا قَلِيلًۭا مِّنكُمْ وَأَنتُم مُّعْرِضُونَ ٨٣

আয়াত-৮৩: স্মরণ কর, যখন আমি বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবিাদত করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম ও দরিদ্রদের সাথে সদয় ব্যবহার করবে, মানুষের সাথে সদালাপ করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে, তখন অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমরা অগ্রাহ্যকারী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে।

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَكُمْ لَا تَسْفِكُونَ دِمَآءَكُمْ وَلَا تُخْرِجُونَ أَنفُسَكُم مِّن دِيَـٰرِكُمْ ثُمَّ أَقْرَرْتُمْ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ ٨٤

আয়াত-৮৪: আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা পরস্পরের রক্তপাত করবে না এবং তোমাদের আপনজনদের দেশ থেকে বহিষ্কার করবে না, তখন তোমরা তা স্বীকার করেছিলে এবং এ বিষয়ে তোমরা সাক্ষ্য দিচ্ছিলে।

ثُمَّ أَنتُمْ هَـٰٓؤُلَآءِ تَقْتُلُونَ أَنفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقًۭا مِّنكُم مِّن دِيَـٰرِهِمْ تَظَـٰهَرُونَ عَلَيْهِم بِٱلْإِثْمِ وَٱلْعُدْوَٰنِ وَإِن يَأْتُوكُمْ أُسَـٰرَىٰ تُفَـٰدُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْ ۚ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ ٱلْكِتَـٰبِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍۢ ۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمْ إِلَّا خِزْىٌۭ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا ۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰٓ أَشَدِّ ٱلْعَذَابِ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ٨٥

আয়াত-৮৫: তারপর তোমরাই তারা যারা নিজেদের হত্যা করছ এবং তোমাদের এক দলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছ, পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছ। আর যদি তারা বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তাহলে মুক্তিপণ নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিষ্কার করাই তোমাদের জন্য অবৈধ ছিল। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে, পার্থিব জীবনে তাদের দুৰ্গতি ছাড়া কোন পথ নেই এবং কেয়ামতের দিন কঠোরতর শাস্তির দিকে তাদের নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে বে-খবর নন।

أُو۟لَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْـَٔاخِرَةِ ۖ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ ٱلْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ ٨٦

আয়াত-৮৬: এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে; সুতরাং তাদের শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তারা সাহায্য-প্রাপ্তও হবে না।

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَـٰبَ وَقَفَّيْنَا مِنۢ بَعْدِهِۦ بِٱلرُّسُلِ ۖ وَءَاتَيْنَا عِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱلْبَيِّنَـٰتِ وَأَيَّدْنَـٰهُ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِ ۗ أَفَكُلَّمَا جَآءَكُمْ رَسُولٌۢ بِمَا لَا تَهْوَىٰٓ أَنفُسُكُمُ ٱسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقًۭا كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقًۭا تَقْتُلُونَ ٨٧

আয়াত-৮৭: আর আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রাসূলদের পাঠিয়েছি; মরিয়মের পুত্র ঈসাকে আমি স্পষ্ট মু’জিযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে শক্তিশালী করেছি। তারপর যখনই কোন রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে যা তোমাদের মনঃপূত হয়নি তখনই তোমরা অহংকার করেছ, আর তাদের কতককে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং কতককে হত্যা করেছ।

وَقَالُوا۟ قُلُوبُنَا غُلْفٌۢ ۚ بَل لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلًۭا مَّا يُؤْمِنُونَ ٨٨

আয়াত-৮৮: তারা বলেছিল: আমাদের অন্তর আচ্ছাদিত; বরং সত্য প্রত্যাখ্যানের দরুন আল্লাহ তাদের অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তাদের খুব কম সংখ্যকই ঈমান আনে।

وَلَمَّا جَآءَهُمْ كِتَـٰبٌۭ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٌۭ لِّمَا مَعَهُمْ وَكَانُوا۟ مِن قَبْلُ يَسْتَفْتِحُونَ عَلَى ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَلَمَّا جَآءَهُم مَّا عَرَفُوا۟ كَفَرُوا۟ بِهِۦ ۚ فَلَعْنَةُ ٱللَّهِ عَلَى ٱلْكَـٰفِرِينَ ٨٩

আয়াত-৮৯: যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এল যা তাদের কাছে যা রয়েছে তার সমর্থক, আর তারা পূর্বে এর সাহায্যে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের বিরুদ্ধে বিজয় প্রার্থনা করত; অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌছল যা তারা জ্ঞাত ছিল তখন তারা তা অস্বীকার করে বসল। সুতরাং সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত।

بِئْسَمَا ٱشْتَرَوْا۟ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمْ أَن يَكْفُرُوا۟ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بَغْيًا أَن يُنَزِّلَ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦ ۖ فَبَآءُو بِغَضَبٍ عَلَىٰ غَضَبٍۢ ۚ وَلِلْكَـٰفِرِينَ عَذَابٌۭ مُّهِينٌۭ ٩٠

আয়াত-৯০: কতইনা মন্দ তা যার বিনিময়ে তারা তাদের আত্মাকে বিক্রি করেছে। তা হল, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা তারা অস্বীকার করত ঈর্ষান্বিত হয়ে শুধু এ কারণে যে, আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। সুতরাং তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে। সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য তো রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ قَالُوا۟ نُؤْمِنُ بِمَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا وَيَكْفُرُونَ بِمَا وَرَآءَهُۥ وَهُوَ ٱلْحَقُّ مُصَدِّقًۭا لِّمَا مَعَهُمْ ۗ قُلْ فَلِمَ تَقْتُلُونَ أَنۢبِيَآءَ ٱللَّهِ مِن قَبْلُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ٩١

আয়াত-৯১: আর যখন তাদের বলা হয়: তোমরা ঈমান আন তাতে যা আল্লাহ নাযিল করেছেন; তখন তারা বলে: আমরা ঈমান রাখি তাতে যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। সেটি ছাড়া সবকিছুই তারা অস্বীকার করে যদিও তা সত্য এবং যা তাদের কাছে আছে তার সমর্থক। আপনি বলে দিন, যদি তোমরা প্রকৃত বিশ্বাসী হবে তাহলে ইতিপূর্বে নারীদের কেন হত্যা করলে?

 وَلَقَدْ جَآءَكُم مُّوسَىٰ بِٱلْبَيِّنَـٰتِ ثُمَّ ٱتَّخَذْتُمُ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِهِۦ وَأَنتُمْ ظَـٰلِمُونَ ٩٢

আয়াত-৯২: আর মূসা তো তোমাদের কাছে এসেছে স্পষ্ট মু’জিযাসহ, তারপর তার অনুপস্থিতিতে তোমরা বাছুর বানিয়ে নিয়েছ, তোমরা তো সীমালংঘনকারী।

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَـٰكُم بِقُوَّةٍۢ وَٱسْمَعُوا۟ ۖ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُوا۟ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ ۚ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُم بِهِۦٓ إِيمَـٰنُكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ٩٣

আয়াত-৯৩: স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুরকে তোমাদের উপর তুলে ধরেছিলাম, বলেছিলাম: দৃঢ়ভাবে ধর যা আমি তোমাদের দিয়েছি এবং শোন। তারা বলেছিল: আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম কুফরের কারণে তাদের হৃদয়ে বাছুর-প্রীতি সিঞ্চিত হয়েছিল। আপনি বলে দিন: যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তাহলে তোমাদের বিশ্বাস যার আদেশ দেয় তা কতই না মন্দ!

قُلْ إِن كَانَتْ لَكُمُ ٱلدَّارُ ٱلْـَٔاخِرَةُ عِندَ ٱللَّهِ خَالِصَةًۭ مِّن دُونِ ٱلنَّاسِ فَتَمَنَّوُا۟ ٱلْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَـٰدِقِينَ ٩٤

আয়াত-৯৪: আপনি বলুন: যদি অন্য লোকদের ছাড়া শুধু তোমাদেরই জন্য বিশেষভাবে আখেরাতের বাসস্থান আল্লাহর কাছে বরাদ হয়ে থাকে, তবে মৃত্যু কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক।

وَلَن يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًۢا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّـٰلِمِينَ ٩٥

আয়াত-৯৫: কিন্তু তারা কখনও মৃত্যু কামনা করবে না, সে কারণে যা তাদের হাত পূর্বে পাঠিয়েছে। আর আল্লাহ জালিমদের সম্বন্ধে সম্যক অবহিত।

وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ ٱلنَّاسِ عَلَىٰ حَيَوٰةٍۢ وَمِنَ ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ ۚ يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍۢ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِۦ مِنَ ٱلْعَذَابِ أَن يُعَمَّرَ ۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا يَعْمَلُونَ ٩٦

আয়াত-৯৬: অবশ্যই আপনি সবার চেয়ে এমনকি মুশরিকদের চেয়েও জীবনের প্রতি তাদের অধিক লোভী দেখতে পাবেন। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে যেন হাজার বছর বাঁচতে পারে। কিন্তু এ ধরনের দীর্ঘায়ু শাস্তি থেকে তাদের রক্ষা করতে পারবে না। তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।

قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّۭا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُۥ نَزَّلَهُۥ عَلَىٰ قَلْبِكَ بِإِذْنِ ٱللَّهِ مُصَدِّقًۭا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًۭى وَبُشْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ ٩٧

আয়াত-৯৭: আপনি বলে দিন: যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু—এ কারণে যে, সে আল্লাহর নির্দেশে আপনার অন্তরে কোরআন নাযিল করেছে, যা তার পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং যা মু’মিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ__

مَن كَانَ عَدُوًّۭا لِّلَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَىٰلَ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَدُوٌّۭ لِّلْكَـٰفِرِينَ ٩٨

আয়াত-৯৮: যে কেউ আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তার রাসূল এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের সত্রু, সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদের শত্রু।

وَلَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ءَايَـٰتٍۭ بَيِّنَـٰتٍۢ ۖ وَمَا يَكْفُرُ بِهَآ إِلَّا ٱلْفَـٰسِقُونَ ٩٩

আয়াত-৯৯: আর আমি আপনার প্রতি স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নাযিল করেছি। কাফেররা ছাড়া কেউ তা প্রত্যাখ্যান করে না।

أَوَكُلَّمَا عَـٰهَدُوا۟ عَهْدًۭا نَّبَذَهُۥ فَرِيقٌۭ مِّنْهُم ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ١٠٠

আয়াত-১০০: কি আশ্চর্য, যখনই তারা কোন অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয় তখনই তাদের কোন একদল তা ভঙ্গ করে, বরং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।

Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা (50-75)

Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা (101-125)

Surah Al-Maidah 51-100

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   আয়াত-৫১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ...

Surah Al-Maidah 1-50

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু, সেগুলো ছাড়া যা তোমাদের কাছে...

Surah An-Nisa 151-176

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১৫১-১৭৬) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ এরাই প্রকৃতপক্ষে কাফের। আর আমি কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আয়াত-১৫২ঃ যারা ঈমান আনে আল্লাহর...

Surah An-Nisa 101-150

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১০১-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১০১ঃ আর যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর করবে, তখন তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি তোমরা নামায সংক্ষিপ্ত কর, এ আশংকায় যে, কাফেররা তোমাদের...

An-Nisa (51-100)

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-৫১ঃ তুমি কি তাদের দেখনি যাদের দেয়া হয়েছিল কিতাবের এক অংশ, তারা ঈমান রাখে জিবত ও তাগূতে এবং তারা কাফেরদের সন্মন্ধে বলেঃ এরাই...

An-Nisa (1-50)

Surah An-Nisa / সূরা আন নিসা (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত–১ঃ হে মানব! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি পয়দা করেছেন তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে এবং যিনি পয়দা করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর...

Surah Ali ‘Imran (151-200)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১৫১-২০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ অতি সত্ত্বর আমি কাফেরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব, কেননা তারা আল্লাহর এমন শরীক সাব্যস্ত করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন...

Surah Ali ‘Imran (126-150)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১২৬-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُكُم بِهِۦ ۗ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (101-125)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১০১-১২৫) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥ ۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (76-100)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ৭৬-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ٧٦ আয়াত-৭৬: হাঁ, অবশ্যই যে ব্যক্তি তার...