Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ৫০-৭৫)
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
51
وَإِذْ وَٰعَدْنَا مُوسَىٰٓ أَرْبَعِينَ لَيْلَةًۭ ثُمَّ ٱتَّخَذْتُمُ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِهِۦ وَأَنتُمْ ظَـٰلِمُونَ٥١
আয়াত-৫১: আর যখন আমি মূসার সাথে চল্লিশ রাতের ওয়াদা করেছিলাম, তারপর তোমরা তার অনুপস্থিতিতে বাছুর বানিয়ে নিয়েছিলে; তোমরা ছিলে জালিম।
52
ثُمَّ عَفَوْنَا عَنكُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ٥٢
আয়াত-৫২: এরপরও আমি তোমাদের ক্ষমা করেছি যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
53
وَإِذْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَـٰبَ وَٱلْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ ٥٣
আয়াত-৫৩: আর স্মরণ কর, যখন আমি মূসাকে কিতাব ও ফুরকান দান করেছিলাম যাতে তোমরা সৎপথে পরিচালিত হও।
54
وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦ يَـٰقَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنفُسَكُم بِٱتِّخَاذِكُمُ ٱلْعِجْلَ فَتُوبُوٓا۟ إِلَىٰ بَارِئِكُمْ فَٱقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌۭ لَّكُمْ عِندَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ ٥٤
আয়াত-৫৪: আর স্মরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়ের লোকদের বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা বাছুর বানিয়ে নিজেদের উপর ঘোর অত্যাচার করেছ। সুতরাং এখন তোমরা তোমাদের স্রষ্টার দিকে ফিরে যাও এবং নিজেদের হত্যা কর। এটাই কল্যাণকর তিনি তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
55
وَإِذْ قُلْتُمْ يَـٰمُوسَىٰ لَن نُّؤْمِنَ لَكَ حَتَّىٰ نَرَى ٱللَّهَ جَهْرَةًۭ فَأَخَذَتْكُمُ ٱلصَّـٰعِقَةُ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ ٥٥
আয়াত-৫৫: আর যখন তোমরা বললে: হে মূসা আমরা কখনও তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পাব। তখন তোমাদের পাকড়াও করল বজ্র আর তা তোমরা প্রত্যক্ষ করছিলে।
56
ثُمَّ بَعَثْنَـٰكُم مِّنۢ بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ٥٦
আয়াত-৫৬: তারপর আমি তোমাদের পুনরুজ্জীবিত করলাম তোমাদের মৃত্যুর পর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
57
وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ ٱلْغَمَامَ وَأَنزَلْنَا عَلَيْكُمُ ٱلْمَنَّ وَٱلسَّلْوَىٰ ۖ كُلُوا۟ مِن طَيِّبَـٰتِ مَا رَزَقْنَـٰكُمْ ۖ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَـٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ٥٧
আয়াত-৫৭: আর আমি মেঘমালা দিয়ে তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি মান্না ও সালওয়া। “তোমরা খাও সেসব পবিত্র বস্তু যা আমি তোমাদের দান করেছি।” তারা আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি, বরং তারা নিজেদের প্রতিই জুলুম করেছিল।
58
وَإِذْ قُلْنَا ٱدْخُلُوا۟ هَـٰذِهِ ٱلْقَرْيَةَ فَكُلُوا۟ مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًۭا وَٱدْخُلُوا۟ ٱلْبَابَ سُجَّدًۭا وَقُولُوا۟ حِطَّةٌۭ نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطَـٰيَـٰكُمْ ۚ وَسَنَزِيدُ ٱلْمُحْسِنِينَ ٥٨
আয়াত–৫৮ স্বরণ কর, যখন আমি বললাম: তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এখানে যা, যেভাবে খুশী আহার করে স্বচ্ছন্দে বিচরণ কর এবং দরজার ভিতর দিয়ে নতশিরে প্রবেশ কর এবং বল: আমাদের ক্ষমা করে দাও-তাহলে আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেব আর সৎকর্মপরায়ণ লোকদের অতিরিক্ত দান করব।
59
فَبَدَّلَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ قَوْلًا غَيْرَ ٱلَّذِى قِيلَ لَهُمْ فَأَنزَلْنَا عَلَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ رِجْزًۭا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ ٥٩
আয়াত-৫৯: কিন্তু যারা জুলুম করেছিল তারা তাদের যা বলা হয়েছিল তার স্থলে অন্য কথা বলল। সুতরাং আমি আসমান থেকে জালিমদের উপর আযাব অবতী́ণ।
60
۞ وَإِذِ ٱسْتَسْقَىٰ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦ فَقُلْنَا ٱضْرِب بِّعَصَاكَ ٱلْحَجَرَ ۖ فَٱنفَجَرَتْ مِنْهُ ٱثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًۭا ۖ قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍۢ مَّشْرَبَهُمْ ۖ كُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ مِن رِّزْقِ ٱللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا۟ فِى ٱلْأَرْضِ مُفْسِدِينَ ٦٠
আয়াত-৬০: স্মরণ কর, যখন মূসা তার জাতির জন্য পানি প্রার্থনা করেছিল। তখন আমি বললাম: তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত কর। ফলে তা থেকে বারটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হল। প্রত্যেক গোত্রই নিজ নিজ ঘাট চিনে নিল। বললাম: তোমরা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে পানাহার কর আর পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা কর না।
61
وَإِذْ قُلْتُمْ يَـٰمُوسَىٰ لَن نَّصْبِرَ عَلَىٰ طَعَامٍۢ وَٰحِدٍۢ فَٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنۢبِتُ ٱلْأَرْضُ مِنۢ بَقْلِهَا وَقِثَّآئِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَا ۖ قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ ٱلَّذِى هُوَ أَدْنَىٰ بِٱلَّذِى هُوَ خَيْرٌ ۚ ٱهْبِطُوا۟ مِصْرًۭا فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلْتُمْ ۗ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلذِّلَّةُ وَٱلْمَسْكَنَةُ وَبَآءُو بِغَضَبٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ ۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّ ۗ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ ٦١
আয়াত-৬১: আর তোমরা যখন বললেঃ হে মূসা, আমরা কখনও একই রকম খাদ্যে ধৈর্যধারণ করব না। সুতরাং আপনি আপনার তার কাছে আমাদের জন্ম প্রার্থনা করেন, তিনি যেন আমাদের জন্য জমিতে উৎপন্ন করেন তরকারি, কাঁকড়, গম, মসুর ও পেঁয়াজ। মূসা বললঃ তোমরা কি উৎকৃষ্ট বস্তুর পরিবর্তে নিকৃষ্ট বস্তু নিতে চাও? তাহলে কোন নগরীতে তোমরা অবতরণ কর, সেখানে তোমরা যা চাও তা পাবে। তাদের উপর আরোপিত হল লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য। আর তারা আল্লাহর গজবে পতিত হয়ে ঘুরতে রইল। এরূপ হল এজন্য যে, তারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করত এবং নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তারা নাফরমানি ও সীমালংঘন করেছিল বলেই এমন পরিণতি হয়েছিল।
62
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَادُوا۟ وَٱلنَّصَـٰرَىٰ وَٱلصَّـٰبِـِٔينَ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَعَمِلَ صَـٰلِحًۭا فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ ٦٢
আয়াত-৬২: যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইহুদী হয়েছে আর খ্রিস্টান ও সাবিঈন- তাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।
63
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَـٰكُم بِقُوَّةٍۢ وَٱذْكُرُوا۟ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ٦٣
আয়াত-৬৩: আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তুর-কে তোমাদের উপর তুলে ধরে বলেছিলামঃ আমি তোমাদের যা দিলাম তা দৃঢ়ভাবে ধর এবং তাতে যা আছে তা স্মরণ রেখ, যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার।
64
ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ ۖ فَلَوْلَا فَضْلُ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُۥ لَكُنتُم مِّنَ ٱلْخَـٰسِرِينَ ٦٤
আয়াত-৬৪: এরপরও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। অতএব, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী না থাকলে অবশ্যই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে।
65
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعْتَدَوْا۟ مِنكُمْ فِى ٱلسَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَـٰسِـِٔينَ ٦٥
আয়াত-৬৫: তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমালংঘন করেছিল, তোমরা তাদের ভালরূপে জানতে। আমি তাদের বলেছিলামঃ তোমরা ঘৃণিত বানর হয়ে যাও।
66
فَجَعَلْنَـٰهَا نَكَـٰلًۭا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةًۭ لِّلْمُتَّقِينَ ٦٦
আয়াত-৬৬: তারপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমকালীন ও পরবতীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং মোক্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ করে দিয়েছি।
67
وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تَذْبَحُوا۟ بَقَرَةًۭ ۖ قَالُوٓا۟ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوًۭا ۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْجَـٰهِلِينَ ٦٧
আয়াত-৬৭: স্বরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ আল্লাহতোমাদের একটি গরু জবাই করতে আদেশ দিয়েছেন। তখন তারা বলেছিল; তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছ? মূসা বললঃ আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে।
68
قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِىَ ۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌۭ لَّا فَارِضٌۭ وَلَا بِكْرٌ عَوَانٌۢ بَيْنَ ذَٰلِكَ ۖ فَٱفْعَلُوا۟ مَا تُؤْمَرُونَ ٦٨
আয়াত-৬৮: তারা বলল: তুমি প্রার্থনা কর আমাদের জন্য তোমার পালনকর্তার কাছে, তিনি যেন সেটি কী তা আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। মূসা বলল: আল্লাহ বলেছেন, সেটা হবে এমন গাভী যা বৃদ্ধও নয় অল্পবয়স্কও নয়, এ দুয়ের মধ্যবয়সী। সুতরাং যা আদিষ্ট হয়েছ তা কর।
69
قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوْنُهَا ۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌۭ صَفْرَآءُ فَاقِعٌۭ لَّوْنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِينَ ٦٩
আয়াত-৬৯: তারা বলল: তুমি প্রার্থনা কর আমাদের জন্য তোমার পালনকর্তার কাছে, তিনি যেন আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন সেটির রং কিরূপ হবে? বললঃ আল্লাহ বলেছেন, সেটি হবে হলুদ বর্ণের গাভী, যা দর্শকদের আনন্দ দেবে।
70
قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِىَ إِنَّ ٱلْبَقَرَ تَشَـٰبَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّآ إِن شَآءَ ٱللَّهُ لَمُهْتَدُونَ ٧٠
আয়াত–৭০: তারা বলল: তুমি প্রার্থনা কর আমাদের জন্য তোমার আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। আর আল্লাহ চাইলে নিশ্চয়ই আমরা পথপ্রাপ্ত হব।
71
قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌۭ لَّا ذَلُولٌۭ تُثِيرُ ٱلْأَرْضَ وَلَا تَسْقِى ٱلْحَرْثَ مُسَلَّمَةٌۭ لَّا شِيَةَ فِيهَا ۚ قَالُوا۟ ٱلْـَٔـٰنَ جِئْتَ بِٱلْحَقِّ ۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا۟ يَفْعَلُونَ ٧١
আয়াত-৭১: মূসা বলল: তিনি বলেন, এটি এমন গাভী যা জমি চাষে এবং ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, এটি সুস্থ, নিখুঁত। তারা বললঃ এবার তুমি সঠিক তথ্য এনেছ। তারপর তারা সেটা জবাই করল, যদিও তারা জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না।
72
وَإِذْ قَتَلْتُمْ نَفْسًۭا فَٱدَّٰرَْٰٔتُمْ فِيهَا ۖ وَٱللَّهُ مُخْرِجٌۭ مَّا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ ٧٢
আয়াত-৭২: স্মরণ কর, যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং পরে সে ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করছিলে, যা তোমরা গোপন করছিলে তা প্রকাশ করে দেয়া ছিল আল্লাহর ইচ্ছা।
73
فَقُلْنَا ٱضْرِبُوهُ بِبَعْضِهَا ۚ كَذَٰلِكَ يُحْىِ ٱللَّهُ ٱلْمَوْتَىٰ وَيُرِيكُمْ ءَايَـٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ ٧٣
আয়াত-৭৩: তারপর আমি বললামঃ মৃতকে আঘাত কর গরুর একটি খণ্ড দিয়ে। এভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন এবং তাঁর নিদর্শনসমূহ তোমাদের দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
74
ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِىَ كَٱلْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةًۭ ۚ وَإِنَّ مِنَ ٱلْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ ٱلْأَنْهَـٰرُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ ٱلْمَآءُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ ٱللَّهِ ۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَـٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ٧٤
আয়াত-৭৪: এরপরও তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল, তা পাথরের মৃত অথবা তার চেয়েও কঠিন। কতক পাথর এমনও আছে যে, তা থেকে নদী-নালা প্রবাহিত হয় এবং কতক এমন আছে যে, তা বিদীর্ণ হয় ও পরে তা থেকে পানি নির্গত হয়, আবার কতক এরূপ আছে যা আল্লাহর ভয়ে খসে পড়ে। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ অনবহিত না।
75
۞ أَفَتَطْمَعُونَ أَن يُؤْمِنُوا۟ لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌۭ مِّنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَـٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ٧٥
আয়াত- ৭৫: তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে তো একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শুনত, তারপর হৃদয়ংগম করে তা বিকৃত করত তারা সজ্ঞানে।