Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ২০১-২২৫)

بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

 

وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةًۭ وَفِى ٱلْـَٔاخِرَةِ حَسَنَةًۭ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١

আয়াত-২০১: এবং তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে বলেঃ হে আমাদের প্রভু! এ দুনিয়াতেও আমাদের কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং দোযখের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা কর।

أُو۟لَـٰٓئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌۭ مِّمَّا كَسَبُوا۟ ۚ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ ٢٠٢

আয়াত-২০২: এদেরই জন্য অংশ রয়েছে এরা যা অর্জন করেছে তাতে আর আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

 وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِىٓ أَيَّامٍۢ مَّعْدُودَٰتٍۢ ۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِى يَوْمَيْنِ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ لِمَنِ ٱتَّقَىٰ ۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ ٢٠٣

আয়াত-২০৩: আর স্মরণ করবে আল্লাহকে নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনে। তবে যদি কেউ তাড়াহুড়া করে দু’দিনের মধ্যে চলে আসে তবে তার কোন পাপ নেই, আর যদি কেউ বিলম্ব করে তাহলে তারও কোন পাপ নেই। এ হল তার জন্য যে তাকওয়া অবলম্বন করে। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, তার কাছে তোমাদের একত্র করা হবে।

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُۥ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَيُشْهِدُ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا فِى قَلْبِهِۦ وَهُوَ أَلَدُّ ٱلْخِصَامِ ٢٠٤

আয়াত-২০৪: আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যার পার্থিব জীবন সম্বন্ধের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে এবং সে আল্লাহকে সাক্ষী রাখে তার মনে যা আছে সে ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে সে ঘোর ঝগড়াটে লোক।

وَإِذَا تَوَلَّىٰ سَعَىٰ فِى ٱلْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ ٱلْحَرْثَ وَٱلنَّسْلَ ۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلْفَسَادَ ٢٠٥

আয়াত-২০৫: আর যখন সে ফিরে যায় তখন সে চেষ্টা করে যাতে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও জীব-জন্তুর বংশ বিনাশ করতে পারে। আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন ন।

وَإِذَا قِيلَ لَهُ ٱتَّقِ ٱللَّهَ أَخَذَتْهُ ٱلْعِزَّةُ بِٱلْإِثْمِ ۚ فَحَسْبُهُۥ جَهَنَّمُ ۚ وَلَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ ٢٠٦

আয়াত-২০৬: আর যখন তাকে বলা হয়ঃ আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার আত্মাভিমান তাকে পাপে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং দোজখই তার জন্য যথাযোগ্য স্থান। নিশ্চয়ই তা হল নিকৃষ্ট আবাস।

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْرِى نَفْسَهُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ ٢٠٧

আয়াত-২০৭: মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে বিকিয়ে দেয়। আর আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱدْخُلُوا۟ فِى ٱلسِّلْمِ كَآفَّةًۭ وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَـٰنِ ۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّۭ مُّبِينٌۭ ٢٠٨

আয়াত-২০৮: হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

فَإِن زَلَلْتُم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْكُمُ ٱلْبَيِّنَـٰتُ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ٢٠٩

আয়াত-২০৯: তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে, তবে জেনে রেখ যে আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن يَأْتِيَهُمُ ٱللَّهُ فِى ظُلَلٍۢ مِّنَ ٱلْغَمَامِ وَٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ وَقُضِىَ ٱلْأَمْرُ ۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ ٢١٠

আয়াত-২১০: তারা কি শুধু এর প্রতীক্ষায় রয়েছে যে, আল্লাহ ও ফেরেশতারা মেঘের আড়ালে তাদের কাছে আসবেন, তারপর সব কিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে? সমস্ত বিষয়ই আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।

سَلْ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ كَمْ ءَاتَيْنَـٰهُم مِّنْ ءَايَةٍۭ بَيِّنَةٍۢ ۗ وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ ٢١١

আয়াত-২১১: বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস কর, আমি তাদের কত স্পষ্ট নিদর্শনাবলী দান করেছি। আর আল্লাহর অনুগ্রহ পৌছে যাওয়ার পর কেউ তার পরিবর্তন করলে আল্লাহর শাস্তি অতি কঠিন।

زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ۘ وَٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ فَوْقَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۗ وَٱللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍۢ ٢١٢

আয়াত-২১২: পার্থিব জীবনকে কাফেরদের জন্য সুশোভিত করে দেয়া হয়েছে। তারা মু’মিনদের উপহাস করে। পক্ষান্তরে যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তারা সে কাফেরদের চেয়ে কেয়ামতের দিন উচ্চ মর্যাদায় থাকবে। আর যাকে ইচ্ছে আল্লাহ সীমাহীন জীবিকা দান করেন।

كَانَ ٱلنَّاسُ أُمَّةًۭ وَٰحِدَةًۭ فَبَعَثَ ٱللَّهُ ٱلنَّبِيِّـۧنَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ ٱلْكِتَـٰبَ بِٱلْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ ٱلنَّاسِ فِيمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ ۚ وَمَا ٱخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ أُوتُوهُ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَـٰتُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ۖ فَهَدَى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ مِنَ ٱلْحَقِّ بِإِذْنِهِۦ ۗ وَٱللَّهُ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍۢ مُّسْتَقِيمٍ ٢١٣

আয়াত-২১৩: সকল মানুষ একই উম্মত ছিল। তারপর আল্লাহ নবীদের পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। আর তাদের সাথে সত্যসহ কিতাব নাযিল করলেন যাতে মানুষের মাঝে যে বিষয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিল তার মীমাংসা করতে পারেন। বস্তুত কিতাবের ব্যাপারে অন্য কেউ মতভেদ করেনি, বরং স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর পারস্পরিক বিদ্বেষবশত তারাই করেছে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছিল। মু’মিনরা যে সত্য সম্বন্ধে মতভেদ করত, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সে ব্যাপারে হেদায়াত প্রদান করেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِكُم ۖ مَّسَّتْهُمُ ٱلْبَأْسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوا۟ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصْرُ ٱللَّهِ ۗ أَلَآ إِنَّ نَصْرَ ٱللَّهِ قَرِيبٌۭ ٢١٤

আয়াত-২১৪: তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা বেহেশতে চলে যাবে, যদিও এখনও তোমরা তাদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে? তাদের উপর পতিত হয়েছিল অর্থ-সংকট ও দুঃখ-ক্লেশ। তারা এমনভাবে ভীত-শিহরিত হয়েছিল। যে, রাসূল এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছিল তাদের বলতে হয়েছিলঃ কখন আসবে। আল্লাহর সাহায্য? হাঁ, আল্লাহর সাহায্য একান্তই কাছে।

يَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ ۖ قُلْ مَآ أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍۢ فَلِلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَ وَٱلْيَتَـٰمَىٰ وَٱلْمَسَـٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍۢ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌۭ ٢١٥

আয়াত-২১৫: তারা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করেঃ কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাওঃ যা কিছুই তোমরা ব্যয় করবে তা হবে পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরদের জন্য। আর তোমরা যা কিছু উত্তম কাজ কর না কেন, আল্লাহ তা সম্যক অবহিত।

كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌۭ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًۭٔا وَهُوَ خَيْرٌۭ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًۭٔا وَهُوَ شَرٌّۭ لَّكُمْ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ٢١٦

আয়াত-২১৬: তোমাদের উপর যুদ্ধ অবধারিত করা হল, যদিও তা তোমাদের কাছে অপ্রিয়। আর হয়ত কোন একটা বিষয় তোমাদের কাছে অপ্রিয় মনে হয়, অথচ আসলে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং হয়তবা কোন বিষয় তোমাদের কাছে প্রিয় মনে হয়, আসলে তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلشَّهْرِ ٱلْحَرَامِ قِتَالٍۢ فِيهِ ۖ قُلْ قِتَالٌۭ فِيهِ كَبِيرٌۭ ۖ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَكُفْرٌۢ بِهِۦ وَٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِۦ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ ٱللَّهِ ۚ وَٱلْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ ٱلْقَتْلِ ۗ وَلَا يَزَالُونَ يُقَـٰتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ ٱسْتَطَـٰعُوا۟ ۚ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِۦ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌۭ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَـٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ ۖ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ أَصْحَـٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ ٢١٧

আয়াত-২১৭: তারা আপনাকে পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, আপনি বলে দিনঃ তাতে যুদ্ধ করা ভীষণ পাপ। আর আল্লাহর পথে বাধা দেয়া, কুফরী করা, মাসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেয়া এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর কাছে তার চেয়ে বড় পাপ আর কিছু হতে পারে না। আর ফিতনা হত্যার চেয়ে মহাপাপ। তারা সর্বদা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে যাতে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে, যদি তারা তাতে সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় কর্ম বিনষ্ট হয়ে যাবে। এরাই দোযখের বাসিন্দা, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَجَـٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أُو۟لَـٰٓئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ ٱللَّهِ ۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٢١٨

আয়াত-২১৮: নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে এবং যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারাই আল্লাহর রহমত প্রত্যাশা করে। আর আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

 يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْخَمْرِ وَٱلْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَآ إِثْمٌۭ كَبِيرٌۭ وَمَنَـٰفِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا ۗ وَيَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ ٱلْعَفْوَ ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْـَٔايَـٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ ٢١٩

আয়াত-২১৯: তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুনঃ এ দুয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ, তবে মানুষের জন্য উপকারও আছে, কিন্তু এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে অনেক বড়। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? আপনি বলুনঃ প্রয়োজন পূরণের পর যা বাচে তা। এভাবে আল্লাহ তার নির্দেশসমূহ সুস্পষ্টরূপে তোমাদের জন্য বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করতে পার__

فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ ۗ وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْيَتَـٰمَىٰ ۖ قُلْ إِصْلَاحٌۭ لَّهُمْ خَيْرٌۭ ۖ وَإِن تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَٰنُكُمْ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ ٱلْمُفْسِدَ مِنَ ٱلْمُصْلِحِ ۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَعْنَتَكُمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌۭ ٢٢٠

আয়াত-২২০: দুনিয়া ও আখেরাত সম্বন্ধে। তারা আপনাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন: তাদের সুব্যবস্থা করা উত্তম। তবে যদি তোমরা তাদের সাথে মিলেমিশে একত্রে থাক তাহলে মনে করবে তারা তো তোমাদের ভাই। আর আল্লাহ জানেন কে ফাসাদ সৃষ্টিকারী এবং কে মঙ্গলকামী। আর আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদের কষ্টে ফেলতে পারতেন। নিশ্চয় আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী, মহাপ্রাজ্ঞ।

وَلَا تَنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكَـٰتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّ ۚ وَلَأَمَةٌۭ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌۭ مِّن مُّشْرِكَةٍۢ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ ۗ وَلَا تُنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا۟ ۚ وَلَعَبْدٌۭ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌۭ مِّن مُّشْرِكٍۢ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ ۗ أُو۟لَـٰٓئِكَ يَدْعُونَ إِلَى ٱلنَّارِ ۖ وَٱللَّهُ يَدْعُوٓا۟ إِلَى ٱلْجَنَّةِ وَٱلْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِۦ ۖ وَيُبَيِّنُ ءَايَـٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ٢٢١

আয়াত-২২১: তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে কর না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। মু’মিন ক্রীতদাসী মুশরিক নারীর চেয়ে উত্তম যদিও মুশরিক নারী তোমাদের ভাল লাগে। তোমরা বিয়ে দিও না তোমাদের নারীদের মুশরিক পুরুষদের সাথে যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। একজন মু’মিন ক্রীতদাস একজন মুশরিকের চেয়ে অবশ্যই উত্তম যদিও সে তোমাদের মোহিত করে। তারা দোযখের দিকে ডাকে এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষের জন্য স্বীয় বিধান সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًۭى فَٱعْتَزِلُوا۟ ٱلنِّسَآءَ فِى ٱلْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلْمُتَطَهِّرِينَ ٢٢٢

আয়াত-২২২: তারা আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে রক্তস্রাব সম্বন্ধে। আপনি বলুনঃ তা অশুচি। কাজেই রক্তস্রাব অবস্থায় তোমরা স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাকবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না। সুতরাং যখন তারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হবে তখন তোমরা তাদের কাছে ঠিক সেভাবে গমন করবে যেভাবে আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালবাসেন।

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌۭ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ ۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَـٰقُوهُ ۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ٢٢٣

আয়াত-২২৩: তোমাদের স্ত্রীরা হল তোমাদের শস্যক্ষেত্র। যেভাবে ইচ্ছে তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে গমন করতে পার। তবে তোমরা নিজেদের জন্য কিছু অগ্রিম ব্যবস্থা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে। আর জেনে রেখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদের সাক্ষাত হবেই এবং মুমিনদের সুসংবাদ দাও।

وَلَا تَجْعَلُوا۟ ٱللَّهَ عُرْضَةًۭ لِّأَيْمَـٰنِكُمْ أَن تَبَرُّوا۟ وَتَتَّقُوا۟ وَتُصْلِحُوا۟ بَيْنَ ٱلنَّاسِ ۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌۭ ٢٢٤

আয়াত-২২৪: তোমরা নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না সৎকাজ থেকে, আত্মসংযম থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغْوِ فِىٓ أَيْمَـٰنِكُمْ وَلَـٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْ ۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌۭ ٢٢٥

আয়াত-২২৫: তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদের ধরবেন না; তিনি তোমাদের পাকড়াও করবেন তোমাদের অন্তরের সংকল্পের জন্য। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Surah Al-Maidah 51-100

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   আয়াত-৫১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ...

Surah Al-Maidah 1-50

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু, সেগুলো ছাড়া যা তোমাদের কাছে...

Surah An-Nisa 151-176

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১৫১-১৭৬) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ এরাই প্রকৃতপক্ষে কাফের। আর আমি কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আয়াত-১৫২ঃ যারা ঈমান আনে আল্লাহর...

Surah An-Nisa 101-150

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১০১-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১০১ঃ আর যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর করবে, তখন তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি তোমরা নামায সংক্ষিপ্ত কর, এ আশংকায় যে, কাফেররা তোমাদের...

An-Nisa (51-100)

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-৫১ঃ তুমি কি তাদের দেখনি যাদের দেয়া হয়েছিল কিতাবের এক অংশ, তারা ঈমান রাখে জিবত ও তাগূতে এবং তারা কাফেরদের সন্মন্ধে বলেঃ এরাই...

An-Nisa (1-50)

Surah An-Nisa / সূরা আন নিসা (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত–১ঃ হে মানব! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি পয়দা করেছেন তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে এবং যিনি পয়দা করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর...

Surah Ali ‘Imran (151-200)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১৫১-২০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ অতি সত্ত্বর আমি কাফেরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব, কেননা তারা আল্লাহর এমন শরীক সাব্যস্ত করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন...

Surah Ali ‘Imran (126-150)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১২৬-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُكُم بِهِۦ ۗ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (101-125)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১০১-১২৫) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥ ۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (76-100)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ৭৬-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ٧٦ আয়াত-৭৬: হাঁ, অবশ্যই যে ব্যক্তি তার...