Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা
(আয়াত: ১০১-১৫০)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আয়াত-১০১ঃ আর যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর করবে, তখন তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি তোমরা নামায সংক্ষিপ্ত কর, এ আশংকায় যে, কাফেররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে। নিশ্চয় কাফেররা হল তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
আয়াত-১০২ঃ আর আপনি যখন তাদের মধ্যে থাকেন এবং তাদের নামায পড়াতে চান, তখন যেন তাদের একদল আপনার সাথে দাঁড়ায় এবং তারা যেন নিজেদের অস্ত্র সাথে রাখে। তারপর যখন তারা সিজদা সম্পন্ন করবে তখন যেন তারা তোমাদের পেছনে অবস্থান নেয়, আর অন্য দল যারা নামায পড়েনি তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে নেয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফেররা চায় যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও যাতে তারা একযোগে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির কারণ কষ্ট পাও অথবা যদি তোমরা অসুস্থ হও, এ অবস্থায় নিজেদের অস্ত্র পরিত্যাগ করলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ কাফেরদের জন্য অবশ্যই লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
আয়াত-১০৩ঃ আর যখন তোমরা নামায সমাপ্ত করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করবে। তারপর যখন তোমরা বিপদমুক্ত হবে তখন যথাযথভাবে নামায পড়বে। নিশ্চয় নির্ধারিত সময় মুমিনদের উপর নামায পড়া ফরয।
আয়াত-১০৪ঃ আর শক্রদলের পশ্চাদ্ধাবনে তোমরা হতোদ্যম হইও না। যদি তোমরা ব্যথিত হয়ে থাক, তবে তারাও তো ব্যথিত হয়েছে, যেমন তোমরা ব্যথা পেয়েছ। আর তোমরা আল্লাহর কাছে এমন কিছু আশা কর যা তারা আশা করে না। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, হেকমতওয়ালা।
আয়াত-১০৫ঃ নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্যসহ কিতাব নাযিল করেছি যাতে আপনি মানুষের মধ্যে বিচার মীমাংসা করেন সে অনুসারে যা আল্লাহ আপনাকে জানিয়েছেন। আর আপনি বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের পক্ষে বিতর্ককারী হবেন না,
আয়াত-১০৬ঃ এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আায়াত-১০৭ঃ যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদের ক্ষতি করেছে আপনি তাদের পক্ষে কথা বলবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসভঙ্গকারী পাপীকে ভালবাসেন না।
আয়াত-১০৮ঃ তারা মানুষের থেকে গোপন করতে চায় কিন্তু আল্লাহর কাছ থেকে গোপন করে না, অথচ তিনি তাদের সঙ্গেই আছেন যখন তারা রাতে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে যা তিনি পছন্দ করেন না। আর যা কিছু তারা করে তা সবই আল্লাহর আয়ত্তাধীন।
আয়াত–১০৯ঃ হাঁ, তোমরা তো পার্থিব জীবনে তাদের পক্ষে বিতর্ক করলে, কিন্তু কেয়ামতের দিন তাদের পক্ষে আল্লাহর সামনে কে বিতর্ক করবে অথবা কে তাদের উকিল হবে?
আয়াত-১১০ঃ আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ করে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে।
আায়াত-১১১ঃ আর যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজ করে সে শুধু নিজের উপরই তার প্রতিফল পৌছায়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, হেকমতওয়ালা।
আয়াত-১১২ঃ আর যে ব্যক্তি কোন দোষ কিংবা কোন পাপ করে, তারপর তা কোন নিরপরাধ ব্যক্তির উপর আরোপ করে, তবে তো সে নিজের উপর চাপিয়ে নিল মিথ্যা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা।
আয়াত-১১৩ঃ আর যদি না আপনার প্রতি থাকত আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত, তবে তাদের একদল আপনাকে অবশ্যই বিভ্রান্তিতে ফেলতে সংকল্প করেছিল। তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে না। আর তারা আপনার কোনই ক্ষতি করতে পারে না। আপনার প্রতি কিতাব ও হেকমত নাযিল করেছেন এবং আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না। আর আপনার প্রতি রয়েছে আল্লাহর মহা অনুগ্রহ।
আয়াত-১১৪ঃ তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই। তবে যে ব্যক্তি নির্দেশ দেয় দান-খয়রাত করতে, কিংবা সৎকাজ করতে, কিংবা মানুষের মধ্যে শান্তি-শৃংখলা স্থাপনের জন্য, তাতে কল্যাণ আছে। যে এসব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্ত করে, অবশ্যই আমি তাকে মহাপুরস্কার দান করব।
আয়াত-১১৫ঃ আর যে ব্যক্তি রাসূলের বিরোধিতা করবে তার কাছে সৎপথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং মুমিনদের পথ ছেড়ে অন্য পথ অনুসরণ করবে অবশ্যই আমি তাকে সেদিকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে যায়। আর তাকে জাহান্নামে জ্বালাব। তা কত নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।
আয়াত-১১৬ঃ নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করেন না তার সঙ্গে শরীক সাব্যস্ত করাকে; আর তিনি ক্ষমা করেন এছাড়া সবকিছু যাকে ইচ্ছে করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়।
আয়াত-১১৭ঃ তারা তো তার পরিবর্তে শুধু দেবীরই পূজা করে এবং তারা পূজা করে শুধু অবাধ্য শয়তানের,
আয়াত-১১৮ঃ যাকে আল্লাহ লা’নত করেন। আর সে বলেঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুগামী করে নেব।
আয়াত-১১৯ঃ এবং তাদের আমি পথভ্রষ্ট করবই, তাদের বৃথা আশ্বাস দেবই, আর আমি অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেব যেন তারা পশুর কান ছেদন করে, আর নিশ্চয় আমি তাদের নির্দেশ দেব যেন তারা আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করে দেয়। আর যে কেউ আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে প্রকাশ্য ক্ষতির মধ্যে নিপতিত হবে।
আয়াত-১২ঃ সে তাদের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বৃথা আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
আয়াত-১২১ঃ এদেরই ঠিকানা জাহান্নাম। এরা সেখান থেকে কোথাও বাচার জায়গা পাবে না।
আয়াত-১২২ঃ আর যারা ঈমান আনে এবং নেক কাজ করে, অচিরেই আমি তাদের জান্নাতে দাখিল করব, প্রবাহিত হয় যার তলদেশে নহরসমূহ; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আল্লাহর চেয়ে কথায় অধিক সত্যবাদী কে?
আয়াত-১২৩ঃ তোমাদের বৃথা আকাঙক্ষায় কোন কাজ হবে না এবং আহলে কিতাবের বৃথা আকাঙক্ষায়ও কোন কাজ হবে না। যে কেউ কোন মন্দ কাজ করবে সে তার প্রতিফল পাবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া তার কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না।
আয়াত-১২৪ঃ যে ব্যক্তি নেক কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না।
আয়াত-১২৫ঃ কে উত্তম দ্বীনের দিক দিয়ে তার চেয়ে যে নিজেকে সোপর্দ করে দেয় আল্লাহর কাছে সৎ কাজে নিয়োজিত থেকে এবং একনিষ্ঠভাবে মিল্লাতে ইবরাহীমকে অনুসরণ করে? আর আল্লাহ ইবরাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।
আয়াত-১২৬ঃ যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে সব কিছু আল্লাহরই। আর এ সব কিছুকেই আল্লাহ পরিবেষ্টন করে আছেন।
আয়াত-১২৭ঃ আর লোকেরা আপনার কাছে নারীদের সম্বন্ধে বিধান জানতে চায়। বলুনঃ আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে তোমাদের ব্যবস্থা দিচ্ছেন এবং যা তোমাদের তেলাওয়াত করে শুনান হয় কোরআনে তা ঐসব এতিম নারীদের সম্পর্কে যাদের তোমরা তাদের নির্ধারিত প্রাপ্য প্রদান কর না অথচ তোমরা তাদের বিয়ে করতে চাও, এবং অসহায় শিশুদের সম্বন্ধে, আর এতিমদের ব্যাপারে ইনসাফের সাথে কার্য নির্বাহ করবে। আর তোমরা যেকোন ভাল কাজ কর আল্লাহ তো তা খুব জানেন।
আয়াত-১২৮ঃ আর যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে তাদের কোন গুনাহ নেই যদি তারা পরস্পর মীমাংসা করে নেয়। আর মীমাংসাই উত্তম। আর লালসা তো আত্মার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। যদি তোমরা ভাল কাজ কর এবং মোত্তাকী হও তবে তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।
আয়াত-১২৯ঃ তোমরা কখনও ন্যায়বিচার করতে পারবে না স্ত্রীদের মধ্যে যদিও তোমরা তা করতে চাও। তবে তোমরা সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড় না যাতে একজনকে ফেলে রাখ ঝুলন্ত অবস্থায়। যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর এবং মোক্তাকী হও তবে আল্লাহ তো পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আয়াত-১৩০ঃ যদি তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তবে আল্লাহ তাঁর প্রাচুর্য দিয়ে তাদের প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, হেকমতওয়ালা।
আয়াত-১৩১ঃ আর যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে সবকিছু আল্লাহরই। আমি তো নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবকে এবং তোমাদেরও যে, তোমরা ভয় করবে আল্লাহকে। যদি তোমরা কুফরী কর তবে জেনে রেখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ̖রই যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে। আর আল্লাহ হলেন অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
আয়াত-১৩২ঃ আর আল্লাহ̖রই যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে এবং কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
আয়াত-১৩৩ঃ হে মানুষ। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের ধ্বংস করে দিতে পারেন এবং অন্যদের আনতে পারেন। আর এরূপ করতে আল্লাহ সম্পূর্ণ সক্ষম।
আয়াত-১৩৪ঃ যে কেউ পার্থিব কল্যাণ চায় সে জেনে রাখুক যে, আল্লাহর কাছে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ। আল্লাহ সব শুনেন, সব দেখেন।
আয়াত-১৩৫ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহ̖র সাক্ষীস্বরূপ যদিও তা তোমাদের নিজেদের কিংবা পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; হোক সে ধনী অথবা দরিদ্র, উভয়ের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অধিকতর। অতএব ন্যায়বিচার করতে গিয়ে তোমরা কামনা-বাসনার অনুসরণ কর না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেচিয়ে কথা বল অথবা পাশ কাটিয়ে যাও তবে জেনে রেখ, নিশ্চয়ই-আল্লাহ তোমরা যা কর তার পরিপূর্ণ খবর রাখেন।
আয়াত-১৩৬ঃ হে মু’মিনগণ! তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি, তাঁর রাসূলের প্রতি, তিনি যে কিতাব তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করেছেন তার প্রতি এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে নাযিল করেছেন তার প্রতি। আর যে অবিশ্বাস করে আল্লাহকে, তার ফেরেশতাদের, তার কিতাবসমূহকে, তার রাসূলদের এবং কেয়ামতের দিনকে, সে পথভ্রষ্টতায় বহু দূর সরে পড়েছে।
আয়াত-১৩৭ঃ যারা ঈমান এনেছে পরে কুফরী করেছে এবং আবার ঈমান এনেছে, পুনরায় কুফরী করেছে, তারপর তাদের কুফরী প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেতে রয়েছে, আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না এবং তাদের কোন পথও দেখাবেন না।
আায়াত-১৩৮ঃ সুসংবাদ শুনিয়ে দিন মোনাফেকদের যে, তাদের জন্য অবশ্যই আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আয়াত-১৩৯ঃ যারা গ্রহণ করে কাফেরদের বন্ধুরূপে মু’মিনদের পরিবর্তে, তারা কি তাদের কাছে শক্তি প্রত্যাশা করে? অথচ যাবতীয় শক্তি তো শুধু আল্লাহরই।
আয়াত-১৪০ঃ আর কোরআনে তোমাদের প্রতি তিনি নির্দেশ নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনতে পাবে আল্লাহর আয়াতের প্রতি কুফরী ও উপহাস করা হচ্ছে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত হয়। অন্যথায় তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মোনাফেক ও কাফের সবাইকে জাহান্নামে একত্র করবেন।
আয়াত-১৪১ঃ তারা প্রতীক্ষায় থাকে তোমাদের প্রতি কোন বিপদ ঘটার। তারপর আল্লাহর অনুগ্রহে তোমাদের কোন বিজয় হলে তারা বলেঃ আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? কিন্তু যদি কাফেররা জয়ী হয় তখন তারা বলেঃ আমরা কি তোমাদের ঘিরে রাখিনি এবং মুমিনদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করিনি? কেয়ামতের দিন আল্লাহ তোমাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করে দেবেন। আল্লাহ কখনও কাফেরদের জন্য মু’মিনদের বিরুদ্ধে কোন পথ রাখবেন না।
আয়াত-১৪২ঃ মোনাফেকরা প্রতারিত করতে চায় আল্লাহ̖কে, আর আল্লাহ এ প্রতারণার প্রতিফল তাদের দেবেন। আর তারা যখন নামাযে দাড়ায় তখন নিতান্ত অলসতার সাথে দাড়ায় লোক দেখানোর জন্য এবং খুব অল্পই তারা আল্লাহ̖কে স্মরণ করে।
আয়াত-১৪৩ঃ এরা দোটানায় দোদুল্যমান অবস্থায় আছে, সম্পূর্ণ এদিকেও না, সম্পূর্ণ ওদিকেও না! আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তুমি তার জন্য কখনও কোন পথ পাবে না।
আয়াত-১৪৪ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা কাফেরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে না মু’মিনদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি চাও নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহ̖র জন্য স্পষ্ট প্রমাণ কায়েম করে দিতে?
আয়াত-১৪৫ঃ নিঃসন্দেহে মোনাফেকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে; আর তুমি কখনও পাবে না তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী।
আয়াত-১৪৬ঃ অবশ্য যারা তওবা করে, নিজেদের সংশোধন করে, আল্লাহর পথকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে স্বীয় দ্বীনে একনিষ্ঠ থাকে, তারা থাকবে মু’মিনদের সঙ্গে। আর অচিরেই আল্লাহ মু’মিনদের মহাপুরস্কার প্রদান করবেন।
আয়াত-১৪৭ঃ কি করবেন আল্লাহ তোমাদের শাস্তি দিয়ে যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং ঈমান আন? আর আল্লাহ হলেন গুণগ্রাহী, সর্বজ্ঞ।
আয়াত-১৪৮ঃ আল্লাহ মন্দ কথা প্রকাশ করা ভালো বাসেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
আয়াত-১৪৯ঃ তোমরা যদি কোন নেক কাজ প্রকাশ্যে কর অথবা গোপনে কর অথবা দোষ ক্ষমা কর তবে জেনে রেখ, অবশ্যই আল্লাহও দোষ ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।
আয়াত-১৫০ঃ নিশ্চয় যারা কুফরী করে আল্লাহ̖র সাথে এবং তার রাসূলদের সাথে আর পার্থক্য করতে চায় আল্লাহ̖ ও তার রাসূলদের প্রতি বিশ্বাসের ব্যাপারে এবং বলেঃ আমরা কতিপয়ের প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং কতিপয়কে অবিশ্বাস করি; আর তারা এর মাঝামাঝি এক পথ উদ্ভাবন করতে চায়;