Surah Ali ‘Imran/ সূরা আলে-ইমরান

(আয়াত: ১০১-১২৫)

بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

 

وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥ ۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ فَقَدْ هُدِىَ إِلَىٰ صِرَٰطٍۢ مُّسْتَقِيمٍۢ ١٠١

আয়াত-১০১: কেমন করে তোমরা কুফরী করবে? অথচ তোমাদের পাঠ করে শুনান হচ্ছে আল্লাহর আয়াতসমূহ এবং তোমাদেরই মধ্যে আছেন আল্লাহর রাসূল। আর যে কেউ দৃঢ়ভাবে আল্লাহকে ধারণ করবে সে অবশ্যই পরিচালিত হবে সরল-সঠিক পথে।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ ١٠٢

আয়াত-১০২: হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহকে সেরূপ ভয় করা যেরূপ তাকে ভয় করা উচিত। আর তোমরা প্রকৃত মুসলিম না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর না।

وَٱعْتَصِمُوا۟ بِحَبْلِ ٱللَّهِ جَمِيعًۭا وَلَا تَفَرَّقُوا۟ ۚ وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَآءًۭ فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِۦٓ إِخْوَٰنًۭا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍۢ مِّنَ ٱلنَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَـٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ ١٠٣

আয়াত-১০৩: আর তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ়ভাবে আল্লাহর রজ্জু ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেও না। আর স্মরণ কর আল্লাহর সে অনুগ্রহ যা তোমাদের উপর রয়েছে-তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু, আল্লাহ তোমাদের হৃদয়ে মহব্বত সৃষ্টি করেন, ফলে তার অনুগ্রহে তোমরা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে গেলে। তোমরা ছিলে এক অগ্নিকুণ্ডের কিনারে, আল্লাহ তা থেকে তোমাদের রক্ষা করেন। এরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা সঠিক পথে চলতে পার।

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌۭ يَدْعُونَ إِلَى ٱلْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ ١٠٤

আয়াত-১০৪: আর তোমাদের মধ্যে এমন একদল থাকা আবশ্যক যারা মানুষের কল্যাণের দিকে আহবান করবে এবং আদেশ করবে ভালো কাজের আর নিষেধ করবে মন্দ কাজে। এরাই হলো সফলকাম।

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ تَفَرَّقُوا۟ وَٱخْتَلَفُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْبَيِّنَـٰتُ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌۭ ١٠٥

আয়াত-১০৫: আর তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃস্টি করেছে তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও। তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।

يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌۭ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌۭ ۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُم بَعْدَ إِيمَـٰنِكُمْ فَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ ١٠٦

আয়াত-১০৬: সেদিন কিছু চেহারা উজ্জ্বল হবে এবং কিছু চেহারা কালো হবে। যাদের চেহারা কালো হবে তাদের বলা হবে: তোমরা কি ঈমান আনার পর কুফরী করেছিলে? সুতরাং তোমরা যে কুফরী করতে তার জন্য এখন আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱبْيَضَّتْ وُجُوهُهُمْ فَفِى رَحْمَةِ ٱللَّهِ هُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ ١٠٧

আয়াত-১০৭: আর যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে আল্লাহর রহমতের মধ্যে, তাতে তারা চিরকাল থাকবে।

تِلْكَ ءَايَـٰتُ ٱللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِٱلْحَقِّ ۗ وَمَا ٱللَّهُ يُرِيدُ ظُلْمًۭا لِّلْعَـٰلَمِينَ ١٠٨

আয়াত-১০৮: এসব হল আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনাকে যথাযথভাবে পাঠ করে শুনাচ্ছি। আল্লাহ বিশ্ববাসীর প্রতি জুলুম করতে চান না।

وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ ۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ ١٠٩

আয়াত-১০৯: আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সেসবই আল্লাহর, আর যাবতীয় বিষয় আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তীত হবে।

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ ۗ وَلَوْ ءَامَنَ أَهْلُ ٱلْكِتَـٰبِ لَكَانَ خَيْرًۭا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْفَـٰسِقُونَ ١١٠

আয়াত-১১০: তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উন্মত, মানুষের হিতের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটান হয়েছে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর, মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ। আহলে কিতাব যদি ঈমান আনত তবে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হত।  তাদের মধ্যে কতক মুমিন কিন্তু অধিকাংশই হল পাপাচারী-ফাসিক।

لَن يَضُرُّوكُمْ إِلَّآ أَذًۭى ۖ وَإِن يُقَـٰتِلُوكُمْ يُوَلُّوكُمُ ٱلْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يُنصَرُونَ ١١١

আয়াত-১১১: তারা কখনও তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, সামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া। আর যদি তারা তোমাদের সাথে লড়াই করে তবে তারা তোমাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালাবে, তারপর তাদের কোনরকম সাহায্য করা হবে না।

ضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلذِّلَّةُ أَيْنَ مَا ثُقِفُوٓا۟ إِلَّا بِحَبْلٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ وَحَبْلٍۢ مِّنَ ٱلنَّاسِ وَبَآءُو بِغَضَبٍۢ مِّنَ ٱللَّهِ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلْمَسْكَنَةُ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلْأَنۢبِيَآءَ بِغَيْرِ حَقٍّۢ ۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ ١١٢

আয়াত-১১২: আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাইরে তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের উপর সেখানেই লাঞ্ছনার ছাপ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, আর তারা আল্লাহর গজবের পাত্র হয়েছে এবং ছাপ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের উপর হীনতা-দীনতার। এসব এজন্য যে, তারা প্রত্যাখ্যান করত আল্লাহর আয়াত এবং অন্যায়ভাবে হত্যা করত নবীদের। এ কারণে যে, তারা নাফরমানী করেছিল এবং সীমালংঘন করেছিল।

 لَيْسُوا۟ سَوَآءًۭ ۗ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ أُمَّةٌۭ قَآئِمَةٌۭ يَتْلُونَ ءَايَـٰتِ ٱللَّهِ ءَانَآءَ ٱلَّيْلِ وَهُمْ يَسْجُدُونَ ١١٣

আয়াত-১১৩: তারা সবাই সমান নয়; আহলে কিতাবের মধ্যে একদল আছে অবিচলিত, রাতের বেলায় তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে ও সিজদা করে।

يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ وَيَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَيُسَـٰرِعُونَ فِى ٱلْخَيْرَٰتِ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ مِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ١١٤

আয়াত-১১৪: তারা ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিবসের প্রতি। তারা আদেশ করে ভাল কাজের এবং নিষেধ করে মন্দ কাজে এবং তারা প্রতিযোগিতা করে নেক কাজে। তারাই নেককারদের মধ্যে সামিল।

وَمَا يَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍۢ فَلَن يُكْفَرُوهُ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلْمُتَّقِينَ ١١٥

আয়াত-১১৫: তারা যেসব নেক কাজ করে তার বিনিময় থেকে তাদের কখনও বঞ্চিত করা হবে না। আর মোত্তাকীদের ব্যাপারে আল্লাহ খুব ভাল জানেন।

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَن تُغْنِىَ عَنْهُمْ أَمْوَٰلُهُمْ وَلَآ أَوْلَـٰدُهُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيْـًۭٔا ۖ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ أَصْحَـٰبُ ٱلنَّارِ ۚ هُمْ فِيهَا خَـٰلِدُونَ ١١٦

আয়াত-১১৬: নিশ্চয় যারা কুফরী করে, আল্লাহর সামনে কোন কাজে আসবে না তাদের ধন-সম্পদ আর না তাদের সন্তান-সন্ততি। আর তারাই দোযখবাসী, তারা সেখানে অনন্তকাল থাকবে।

مَثَلُ مَا يُنفِقُونَ فِى هَـٰذِهِ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيحٍۢ فِيهَا صِرٌّ أَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍۢ ظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَأَهْلَكَتْهُ ۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ ٱللَّهُ وَلَـٰكِنْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ١١٧

আয়াত-১১৭: তারা এ পার্থিব জীবনে যা কিছু ব্যয় করে তার উদাহরণ ঐ বায়ুর ন্যায় যাতে রয়েছে প্রচণ্ড হিম, যা আঘাত করল এমন লোকদের শস্যক্ষেত্রকে যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল, ফলে সে বায়ু শস্যক্ষেত্রটি ধ্বংস করে দিল। আল্লাহ তাদের প্রতি কোন অন্যায় করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর অবিচার করেছে।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ بِطَانَةًۭ مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًۭا وَدُّوا۟ مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ ٱلْبَغْضَآءُ مِنْ أَفْوَٰهِهِمْ وَمَا تُخْفِى صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ ۚ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ ٱلْـَٔايَـٰتِ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ ١١٨

আয়াত-১১৮: হে যারা ঈমান এনেছে! তোমরা নিজেদের ছাড়া অন্য কাওকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরুপে গ্রহন কর না। তারা তোমাদের অনিষ্ট করতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করে না। যা তোমাদের কষ্ট দেয় তা তারা কামনা করে। আর কখনো কখনো তাদের মুখ থেকে বিদ্বেষ প্রকাশ পায়; কিন্তু যা তাদের হৃদয় গোপন রাখে তা তো আরো গুরুতর। আমি তো তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে প্রকাশ করে দিয়েছি, যদি তোমরা অনুধাবন করতে পার।

هَـٰٓأَنتُمْ أُو۟لَآءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِٱلْكِتَـٰبِ كُلِّهِۦ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا۟ عَضُّوا۟ عَلَيْكُمُ ٱلْأَنَامِلَ مِنَ ٱلْغَيْظِ ۚ قُلْ مُوتُوا۟ بِغَيْظِكُمْ ۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ١١٩

আয়াত-১১৯: হাঁ, তোমরা এরুপ যে, তোমরা তাদের ভালবাস, কিন্তু তারা তোমাদের ভালবাসে না। আর তোমরা সকল কিতাবের উপর ঈমান রাখ। আর যখন তারা তোমাদের সাথে সাক্ষাত করে তখন বলে, আমরা ঈমাণ এনেছি। কিন্তু যখন তারা পৃথক হয়ে যায় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে নিজেদের আঙ্গুলের অগ্রভাগ কামড়াতে থাকে। বলুনঃ তোমরা মর তোমাদেরই আক্রোশে। নিশ্চয় আল্লাহ অন্তরের কথা সবিশেষ অবহিত।

إِن تَمْسَسْكُمْ حَسَنَةٌۭ تَسُؤْهُمْ وَإِن تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌۭ يَفْرَحُوا۟ بِهَا ۖ وَإِن تَصْبِرُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْـًٔا ۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌۭ ١٢٠

আয়াত-১২০: যদি তোমাদের কোন মঙ্গল হয়, তবে তা তাদের খারাপ লাগে, আর যদি তোমাদের কোন অমঙ্গল হয়, তাহলে তাতে তারা আনন্দিত হয়। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে আছেন যা তারা করে।

وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ ٱلْمُؤْمِنِينَ مَقَـٰعِدَ لِلْقِتَالِ ۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ١٢١

আয়াত-১২১: আর স্মরণ কর, যখন আপনি আপনার পরিজনদের কাছ থেকে ভোরবেলায় বের হয়ে মুমিনদের যুদ্ধের জন্য ঘাঁটিতে বিন্যস্ত করছিলেন, আর আল্লাহ তো সব শোনেন, সব জানেন।

إِذْ هَمَّت طَّآئِفَتَانِ مِنكُمْ أَن تَفْشَلَا وَٱللَّهُ وَلِيُّهُمَا ۗ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ١٢٢

আয়াত-১২২: যখন তোমাদের মধ্যের দুটি দল সাহস হারাতে বসল, অথচ আল্লাহ তাদের সহায়ক ছিলেন; আর আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত।

وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ بِبَدْرٍۢ وَأَنتُمْ أَذِلَّةٌۭ ۖ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ١٢٣

আয়াত-১২৩: আর এ তো সুনিশ্চিত যে, আল্লাহ বদর যুদ্ধে তোমাদের সাহায্যে করেছিলেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেন তোমরা শোকরগুজারী করতে পার।

إِذْ تَقُولُ لِلْمُؤْمِنِينَ أَلَن يَكْفِيَكُمْ أَن يُمِدَّكُمْ رَبُّكُم بِثَلَـٰثَةِ ءَالَـٰفٍۢ مِّنَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةِ مُنزَلِينَ ١٢٤

আয়াত-১২৪: স্মরণ কর, আপনি যখন মু’মিনদের বলছিলেনঃ তোমাদের জন্য একি যথেষ্ট নয় যে, আসমান থেকে নাযিল হওয়া তিন হাজার ফেরেশতা দিয়ে তোমাদের রব তোমাদের সাহায্যে করবেন?

بَلَىٰٓ ۚ إِن تَصْبِرُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ وَيَأْتُوكُم مِّن فَوْرِهِمْ هَـٰذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُم بِخَمْسَةِ ءَالَـٰفٍۢ مِّنَ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةِ مُسَوِّمِينَ ١٢٥

আয়াত- ১২৫: হাঁ, অবশ্যই। যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর; তবে কাফের বাহিনী অতর্কিতে তোমাদের উপর আক্রমণ করলে আল্লাহ পাঁচ হাজার চিহ্নিত ফেরেশতা দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন।

 

Surah Ali ‘Imran (151-200)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১৫১-২০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ অতি সত্ত্বর আমি কাফেরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব, কেননা তারা আল্লাহর এমন শরীক সাব্যস্ত করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন...

Surah Ali ‘Imran (126-150)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১২৬-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُكُم بِهِۦ ۗ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (76-100)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ৭৬-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ٧٦ আয়াত-৭৬: হাঁ, অবশ্যই যে ব্যক্তি তার...

Surah Ali ‘Imran (51-75)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ৫১-৭৫) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   إِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ ۗ هَـٰذَا صِرَٰطٌۭ مُّسْتَقِيمٌۭ ٥١ আয়াত-৫১: নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং...

Surah Ali ‘Imran (26-50)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ২৬-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   قُلِ ٱللَّهُمَّ مَـٰلِكَ ٱلْمُلْكِ تُؤْتِى ٱلْمُلْكَ مَن تَشَآءُ وَتَنزِعُ ٱلْمُلْكَ مِمَّن تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَآءُ...

Surah Ali ‘Imran (01-25)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ০১-২৫) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি الٓمٓ ١ আয়াত-১: আলিফ-লাম-মীম। ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ ٢ আয়াত-২: নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ছাড়া, তিনি...