Surah Ali ‘Imran/ সূরা আলে-ইমরান
(আয়াত: ৫১-৭৫)
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
إِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ ۗ هَـٰذَا صِرَٰطٌۭ مُّسْتَقِيمٌۭ ٥١
আয়াত-৫১: নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। সুতরাং তোমরা তারই ইবাদত কর। এটাই সরল-সঠিক পথ।
فَلَمَّآ أَحَسَّ عِيسَىٰ مِنْهُمُ ٱلْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِىٓ إِلَى ٱللَّهِ ۖ قَالَ ٱلْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ ٱللَّهِ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَٱشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ ٥٢
আয়াত-৫২: তারপর যখন ঈসা তাদের মধ্যে কুফরী উপলব্ধি করতে পারল তখন সে বললঃ কেউ কি আছে যে আল্লাহর পথে আমার সাহায্যকারী হবে? সঙ্গী-সাথীরা বললঃ আমরা আল্লাহর সাহায্যকারী। আমরা তো আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা মুসলিম-আত্মসমর্পণকারী।
رَبَّنَآ ءَامَنَّا بِمَآ أَنزَلْتَ وَٱتَّبَعْنَا ٱلرَّسُولَ فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّـٰهِدِينَ ٥٣
আয়াত-৫৩: হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি যা নাযিল করেছ আমরা তাতে ঈমান এনেছি এবং আনুগত্য করেছি রাসূলের। সুতরাং তুমি আমাদের সাক্ষ্য বহনকারীদের তালিকাভুক্ত করে নাও।
وَمَكَرُوا۟ وَمَكَرَ ٱللَّهُ ۖ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَـٰكِرِينَ ٥٤
আয়াত-৫৪: আর তারা গোপন ষড়যন্ত্র করেছিল এবং আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করলেন। বস্তুত আল্লাহ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।
إِذْ قَالَ ٱللَّهُ يَـٰعِيسَىٰٓ إِنِّى مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَىَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَجَاعِلُ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوكَ فَوْقَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَـٰمَةِ ۖ ثُمَّ إِلَىَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ ٥٥
আয়াত-৫৫: স্বরণ কর, যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা। অবশ্যই আমি তোমার কাল পূর্ণ করব, তোমাকে আমার দিকে তুলে নেব এবং যারা কুফর করেছে তাদের থেকে তোমাকে পবিত্র ও মুক্ত করব। আর যারা প্রকৃতভাবে তোমার অনুসরণ করবে কেয়ামত পর্যন্ত তাদের আমি কাফেরদের উপর স্থান দেব। অতঃপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার মীমাংসা করে দেব।
فَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَأُعَذِّبُهُمْ عَذَابًۭا شَدِيدًۭا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ وَمَا لَهُم مِّن نَّـٰصِرِينَ ٥٦
আয়াত-৫৬: অতএব যারা কুফরী করেছে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের কঠোর শাস্তি দেব, আর তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।
وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ ۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٥٧
আয়াত-৫৭: আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তিনি তাদের পুরোপুরি দেবেন তাদের প্রতিফল। আল্লাহ জালিমদের ভালবাসেন না।
ذَٰلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ ٱلْـَٔايَـٰتِ وَٱلذِّكْرِ ٱلْحَكِيمِ ٥٨
আয়াত-৫৮: এসব যা আমি তোমার কাছে পাঠ করি, তা নিদর্শন ও জ্ঞানগর্ভ।
إِنَّ مَثَلَ عِيسَىٰ عِندَ ٱللَّهِ كَمَثَلِ ءَادَمَ ۖ خَلَقَهُۥ مِن تُرَابٍۢ ثُمَّ قَالَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ ٥٩
আয়াত-৫৯: নিশ্চয় আল্লাহর কাছে ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের দৃষ্টান্তের মত। তিনি আদমকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন, তারপর তাকে বলেছিলেনঃ হয়ে যাও; তখনই সে হয়ে গেল।
ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُن مِّنَ ٱلْمُمْتَرِينَ ٦٠
আয়াত-৬০: এ সত্য তোমার পালনকর্তার তরফ থেকে, সুতরাং সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে না।
فَمَنْ حَآجَّكَ فِيهِ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا۟ نَدْعُ أَبْنَآءَنَا وَأَبْنَآءَكُمْ وَنِسَآءَنَا وَنِسَآءَكُمْ وَأَنفُسَنَا وَأَنفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَل لَّعْنَتَ ٱللَّهِ عَلَى ٱلْكَـٰذِبِينَ ٦١
আয়াত-৬১: যে কেউ তোমার সাথে ঈসা সম্বন্ধে বিতর্ক করে তোমার কাছে জ্ঞান আসার পরেও, তাকে বলে দাও; এস আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের, তারপর সবাই মিলে বিনীতভাবে প্রার্থনা করি আর মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লা’নত দেই।
إِنَّ هَـٰذَا لَهُوَ ٱلْقَصَصُ ٱلْحَقُّ ۚ وَمَا مِنْ إِلَـٰهٍ إِلَّا ٱللَّهُ ۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ٦٢
আয়াত-৬২: নিশ্চয়ই এ বর্ণনা অতি সত্য বৃত্তান্ত একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ উপাস্য নেই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞ।
فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِٱلْمُفْسِدِينَ ٦٣
আয়াত-৬৩: এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আল্লাহ তো ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সম্যক অবহিত।
قُلْ يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ كَلِمَةٍۢ سَوَآءٍۭ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِۦ شَيْـًۭٔا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًۭا مِّن دُونِ ٱللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُولُوا۟ ٱشْهَدُوا۟ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ ٦٤
আয়াত-৬৪: আপনি বলে দিন: হে আহলে কিতাব! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এক ও অভিন্ন। তা হল আমরা যেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করি, কোন কিছুকেই যেন তার শরীক সাব্যস্ত না করি এবং আমাদের কেউ যেন কাউকে পালনকর্তারূপে গ্রহণ না করে আল্লাহকে ত্যাগ করে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমরা বল, “তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা তো মুসলিম।”
يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لِمَ تُحَآجُّونَ فِىٓ إِبْرَٰهِيمَ وَمَآ أُنزِلَتِ ٱلتَّوْرَىٰةُ وَٱلْإِنجِيلُ إِلَّا مِنۢ بَعْدِهِۦٓ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ٦٥
আয়াত-৬৫: হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা ইব্রাহীম সম্পর্কে তর্ক কর? অথচ তাওরাত ও ইনজীল তো তার অনেক পরে নাযিল করা হয়েছিল। তবুও কি তোমরা বুঝ না?
هَـٰٓأَنتُمْ هَـٰٓؤُلَآءِ حَـٰجَجْتُمْ فِيمَا لَكُم بِهِۦ عِلْمٌۭ فَلِمَ تُحَآجُّونَ فِيمَا لَيْسَ لَكُم بِهِۦ عِلْمٌۭ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ٦٦
আয়াত-৬৬: হাঁ, তোমরা তো ইতিপূর্বে তর্ক করেছ এমন বিষয়ে যাতে তোমাদের কিছুমাত্র জ্ঞান আছে, তবে যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই সে বিষয়ে কেন তর্ক করছ? আল্লাহ খুব জানেন, তোমরা জান না।
مَا كَانَ إِبْرَٰهِيمُ يَهُودِيًّۭا وَلَا نَصْرَانِيًّۭا وَلَـٰكِن كَانَ حَنِيفًۭا مُّسْلِمًۭا وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ٦٧
আয়াত-৬৭: ইব্রাহীম ইহুদীও ছিল না এবং নাসারাও ছিল না। সে ছিল একনিষ্ঠ সরলপন্থী মুসলিম। আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
إِنَّ أَوْلَى ٱلنَّاسِ بِإِبْرَٰهِيمَ لَلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ وَهَـٰذَا ٱلنَّبِىُّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ۗ وَٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلْمُؤْمِنِينَ ٦٨
আয়াত-৬৮: মানুষের মধ্যে ইব্রাহীমের ঘনিষ্ঠতম তারা যারা তার অনুসরণ করেছিল এবং এই নবী ও যারা তার প্রতি ঈমান এনেছে। আল্লাহ মু’মিনদের বন্ধু।
وَدَّت طَّآئِفَةٌۭ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ لَوْ يُضِلُّونَكُمْ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ ٦٩
আয়াত-৬৯: আহলে কিতাবের এক দল মনে-প্রাণে চায় যেন তোমাদের বিপথগামী করতে পারে, কিন্তু তারা কাউকে বিপথগামী করতে পারে না নিজেদের ছাড়া, অথচ তারা তা উপলব্ধি করে না।
يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ ٧٠
আয়াত-৭০: হে আহলে কিতাব। কেন তোমরা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করছ, অথচ তোমরাই তার সাক্ষ্য দিচ্ছ?
يَـٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَـٰبِ لِمَ تَلْبِسُونَ ٱلْحَقَّ بِٱلْبَـٰطِلِ وَتَكْتُمُونَ ٱلْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ ٧١
আয়াত-৭১: হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করছ এবং সত্য গোপন করছ, অথচ তোমরা জান?
وَقَالَت طَّآئِفَةٌۭ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ ءَامِنُوا۟ بِٱلَّذِىٓ أُنزِلَ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَجْهَ ٱلنَّهَارِ وَٱكْفُرُوٓا۟ ءَاخِرَهُۥ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ ٧٢
আয়াত-৭২: আহলে কিতাবের একদল বললঃ “মু’মিনদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তোমরা দিনের প্রথম ভাগে তাতে ঈমান আন এবং দিনের শেষে তা প্রত্যাখ্যান কর, হয়ত এতে তারা ইসলাম থেকে ফিরে যাবে।”
وَلَا تُؤْمِنُوٓا۟ إِلَّا لِمَن تَبِعَ دِينَكُمْ قُلْ إِنَّ ٱلْهُدَىٰ هُدَى ٱللَّهِ أَن يُؤْتَىٰٓ أَحَدٌۭ مِّثْلَ مَآ أُوتِيتُمْ أَوْ يُحَآجُّوكُمْ عِندَ رَبِّكُمْ ۗ قُلْ إِنَّ ٱلْفَضْلَ بِيَدِ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُ ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ ٧٣
আয়াত-৭৩: “আর তোমরা বিশ্বাস করবে না স্বধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্য কাউকে।” আপনি বলে দিন; নিশ্চয় প্রকৃত হেদায়াত হল আল্লাহর হেদায়াত। আর এসব এজন্য যে, তোমরা যা পেয়েছিলে তা অন্য কেউ কেন পাবে? কিংবা তারা কেন তোমাদের পরাভূত করবে যুক্তিতে তোমাদের পালনকর্তার সামনে? বলুনঃ নিশ্চয়ই যাবতীয় অনুগ্রহ আল্লাহরই হাতে। তিনি যাকে ইচ্ছে তা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِۦ مَن يَشَآءُ ۗ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ ٧٤
আয়াত-৭৪: তিনি যাকে ইচ্ছে স্বীয় অনুগ্রহের জন্য বিশেষ করে বেছে নেন। আর আল্লাহ হল মহা অনুগ্রহশীল।
وَمِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَـٰبِ مَنْ إِن تَأْمَنْهُ بِقِنطَارٍۢ يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ وَمِنْهُم مَّنْ إِن تَأْمَنْهُ بِدِينَارٍۢ لَّا يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ إِلَّا مَا دُمْتَ عَلَيْهِ قَآئِمًۭا ۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَيْسَ عَلَيْنَا فِى ٱلْأُمِّيِّـۧنَ سَبِيلٌۭ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ ٧٥
আয়াত-৭৫: আর আহলে কিতাবের মধ্যে এমন লোকও আছে, যদি তুমি তার কাছে বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পদ আমানত রাখ, তা সে তোমাকে ফেরত দেবে। তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যদি তুমি তার কাছে একটিমাত্র দীনারও আমানত রাখ এবং তার পেছনে লেগে না থাক, তাহলে সে তা তোমাকে ফেরত দেবে না। এটা এজন্য যে, তারা বলে; আমাদের উপর নিরক্ষরদের ব্যাপারে কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা নেই। আর তারা জেনে-শুনে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে।