Surah Al-Baqarah | সূরা আল-বাকারা
(আয়াত: ২২৬-২৫০)

بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

 

لِّلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِن نِّسَآئِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍۢ ۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌۭ رَّحِيمٌۭ ٢٢٦

আয়াত-২২৬ঃ যারা স্ত্রীগমন না করার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। তারপর যদি তারা আপোসে মিটমাট করে নেয় তবে তো আল্লাহ̖ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

وَإِنْ عَزَمُوا۟ ٱلطَّلَـٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌۭ ٢٢٧

আয়াত-২২৭ঃ আর যদি তারা তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তো আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

وَٱلْمُطَلَّقَـٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَـٰثَةَ قُرُوٓءٍۢ ۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِىٓ أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ ۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِى ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوٓا۟ إِصْلَـٰحًۭا ۚ وَلَهُنَّ مِثْلُ ٱلَّذِى عَلَيْهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ ۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌۭ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ٢٢٨

আয়াত–২২৮ঃ আর তালাকপ্রাপ্তা নারী তিন হায়েয পর্যন্ত নিজেকে প্রতীক্ষায় রাখবে তাদের পক্ষে বৈধ নয় গোপন রাখা যা আল্লাহ্ তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন, যদি তারা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হয়। আর যদি তারা আপোস-মীমাংসা করতে চায় তবে ঐ সময়ে তাদের ফিরিয়ে নিতে তাদের স্বামীরা অধিক হকদার। নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন পুরুষদের আছে তাদের উপর। আর নারীদের উপর রয়েছে পুরুষদের মর্যাদা। আল্লাহ পরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞ।

ٱلطَّلَـٰقُ مَرَّتَانِ ۖ فَإِمْسَاكٌۢ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌۢ بِإِحْسَـٰنٍۢ ۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا۟ مِمَّآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ شَيْـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا ٱفْتَدَتْ بِهِۦ ۗ تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ ٢٢٩

আয়াত-২২৯ঃ এ তালাক দু’বার পর্যন্ত, তারপর হয় বিধিমত স্ত্রীকে রাখবে, না হয় সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে। তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের যা কিছু দিয়েছ তা থেকে কোন কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়; কিন্তু স্বামী এবং স্ত্রী উভয় যদি আশংকা করে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তারপর তোমরা যদি ভয় কর যে, তারা উভয় আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে নিস্কৃতি পেতে চায়, তাতে তাদের কারো কোন পাপ নেই। এ হল আল্লাহর নিধারিত সীমারেখা। সুতরাং তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর সীমারেখা লঙ্ঘন করবে তারাই জালিম।

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُۥ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍۢ يَعْلَمُونَ ٢٣٠

আয়াত-২৩০ঃ তারপর যদি স্বামী স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়, তবে সে তার জন্য বৈধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাকে ছাড়া অন্য স্বামীর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর দ্বিতীয় স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং তারা উভয়ে যদি মনে করে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে, তাহলে তাদের পুনরায় বিয়ে করাতে কারো কোন পাপ নেই। এই হল আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। জ্ঞানীদের জন্য তিনি এসব স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন।

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍۢ ۚ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًۭا لِّتَعْتَدُوا۟ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُۥ ۚ وَلَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَايَـٰتِ ٱللَّهِ هُزُوًۭا ۚ وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَآ أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلْكِتَـٰبِ وَٱلْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِۦ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۭ ٢٣١

আয়াত-২৩১ঃ আর যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ইদ্দত পুর্তির কাছাকাছি হয়, তখন তোমরা তাদের হয় বিধিমত রেখে দেবে অথবা যথাবিধি মুক্ত করে দেবে; কিন্তু জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে তাদের আটকে রেখ না। আর যে এরূপ করে সে তো নিজের প্রতি জুলুম করে। আল্লাহর নির্দেশাবলীকে তোমরা হাসি-তামাশার বস্তু কর না। আর স্মরণ কর আল্লাহর অনুগ্রহের কথা যা তোমাদের উপর রয়েছে এবং স্মরণ কর কিতাব ও হেকমতের কথা যা তোমাদের প্রতি তিনি নাযিল করেছেন এবং যা দিয়ে তিনি তোমাদের শিক্ষা দেন। তোমরা ভয় কর আল্লাহকে এবং জেনে রেখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحْنَ أَزْوَٰجَهُنَّ إِذَا تَرَٰضَوْا۟ بَيْنَهُم بِٱلْمَعْرُوفِ ۗ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ مِنكُمْ يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْـَٔاخِرِ ۗ ذَٰلِكُمْ أَزْكَىٰ لَكُمْ وَأَطْهَرُ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ٢٣٢

আয়াত-২৩২ঃ আর যখন তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়ে দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করতে থাকে, তখন যদি তারা পরস্পর সম্মত হয়ে নিজেদের স্বামীদের বিধিমত বিয়ে করতে চায় তাহলে তোমরা তাদের বাধা দেবে না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি এবং পরকালের প্রতি। এতে রয়েছে তোমাদের জন্য একান্ত পরিশুদ্ধতা এবং পরম পবিত্রত। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান ন।

 وَٱلْوَٰلِدَٰتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَـٰدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ ٱلرَّضَاعَةَ ۚ وَعَلَى ٱلْمَوْلُودِ لَهُۥ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ ۚ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَا تُضَآرَّ وَٰلِدَةٌۢ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌۭ لَّهُۥ بِوَلَدِهِۦ ۚ وَعَلَى ٱلْوَارِثِ مِثْلُ ذَٰلِكَ ۗ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٍۢ مِّنْهُمَا وَتَشَاوُرٍۢ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا ۗ وَإِنْ أَرَدتُّمْ أَن تَسْتَرْضِعُوٓا۟ أَوْلَـٰدَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُم مَّآ ءَاتَيْتُم بِٱلْمَعْرُوفِ ۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌۭ ٢٣٣

আয়াত-২৩৩ঃ মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি দুধ পান করানোর পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর পিতার কর্তব্য হল তাদের যথাবিধি ভরণপোষণ করা। কাউকে তার সামর্থ্যের অধিক দায়িত্বভার দেয়া হয় না। কোন মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং কোন পিতাকেও তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। আর উত্তরাধিকারীদের উপরও অনুরূপ কর্তব্য আর মাতা-পিতা পরস্পরের সম্মতি ও পরামর্শক্রমে যদি দুধ পান বন্ধ রাখতে চায়, তবে তাতে তাদের কারো কোন পাপ নেই। বিধিমত সাব্যস্তকৃত বিনিময় প্রদান করে কোন ধাত্রী দিয়ে যদি তোমরা নিজেদের সন্তানদের দুধ পান করাতে চাও তাতেও কোন পাপ নেই। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًۭا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍۢ وَعَشْرًۭا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ ۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌۭ ٢٣٤

আয়াত-২৩৪ঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করে, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশদিন প্রতীক্ষা করবে। তারপর যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে নেবে, তখন বিধিমত তারা নিজেদের ব্যাপারে যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِۦ مِنْ خِطْبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِىٓ أَنفُسِكُمْ ۚ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَـٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُوا۟ قَوْلًۭا مَّعْرُوفًۭا ۚ وَلَا تَعْزِمُوا۟ عُقْدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْكِتَـٰبُ أَجَلَهُۥ ۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ فَٱحْذَرُوهُ ۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌۭ ٢٣٥

আয়াত-২৩৫ঃ আর যদি তোমরা সে নারীর কাছে ইংগিতে বিয়ের পয়গাম পাঠাও কিংবা নিজেদের অন্তরে গোপন রাখ, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ জানেন যে, অবশ্যই সে নারীদের কথা তোমরা বলবে। কিন্তু বিধিমত কথাবার্তা ছাড়া তাদের সাথে বিয়ে করার গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখ না এবং নির্ধারিত ইদ্দতকাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের কাজ সম্পন্ন করার দৃঢ় সংকল্প কর না। আর জেনে রেখ যে, তোমাদের মনে যা আছে আল্লাহ তা জানেন, সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর। আরো জেনে রেখ যে, আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম সহনশীল।

لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا۟ لَهُنَّ فَرِيضَةًۭ ۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى ٱلْمُوسِعِ قَدَرُهُۥ وَعَلَى ٱلْمُقْتِرِ قَدَرُهُۥ مَتَـٰعًۢا بِٱلْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُحْسِنِينَ ٢٣٦

আয়াত-২৩৬ঃ তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের স্পর্শ করার পূর্বে এবং তাদের জন্য মহর ধার্য করার পূর্বে যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। তোমরা তাদের কিছু খরচ দেবে, বিত্তবান তার সাধ্যমত দেবে এবং বিত্তহীন তার সাধ্য অনুযায়ী দেবে। বিধিমত খরচ প্রদান সৎকর্মশীলদের উপর কর্তব্য।

وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةًۭ فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّآ أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَا۟ ٱلَّذِى بِيَدِهِۦ عُقْدَةُ ٱلنِّكَاحِ ۚ وَأَن تَعْفُوٓا۟ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ وَلَا تَنسَوُا۟ ٱلْفَضْلَ بَيْنَكُمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ ٢٣٧

আয়াত-২৩৭ঃ আর যদি তোমরা তাদের মহর ধার্য করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও, তবে যে মহর তোমরা ধার্য করেছ তার অর্ধেক দিতে হবে। অবশ্য যদি স্ত্রীরা ক্ষমা করে দেয় অথবা যার হাতে বিয়ের বন্ধন রয়েছে সে যদি ক্ষমা করে দেয় তবে স্বতন্ত্র। আর তোমরা যদি ক্ষমা করে দাও তবে তা হবে তাকওয়ার নিকটবর্তী। তোমরা নিজেদের মধ্যে সহানুভূতির কথা ভুলে যেও না। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ্ সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা।

حَـٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَـٰنِتِينَ ٢٣٨

আয়াত-২৩৮ঃ তোমরা সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে একান্ত বিনীতভাবে দাড়াবে।

فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًۭا ۖ فَإِذَآ أَمِنتُمْ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا۟ تَعْلَمُونَ ٢٣٩

আয়াত-২৩৯ঃ তবে যদি তোমরা আশংকা কর, তাহলে পদচারী অবস্থায় অথবা আরোহী অবস্থায়; তারপর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ করবে তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না।

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًۭا وَصِيَّةًۭ لِّأَزْوَٰجِهِم مَّتَـٰعًا إِلَى ٱلْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍۢ ۚ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِى مَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعْرُوفٍۢ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌۭ ٢٤٠

আয়াত-২৪০ঃ আর তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হবে, তারা (মৃত্যুর পূর্বে) স্ত্রীদের ঘর থেকে বের না করে দিয়ে তাদের জন্য এক বছরের ভরণপোষণের অসিয়ত করে যাবে। কিন্তু যদি তারা নিজেরা বেরিয়ে যায় তবে বিধিমত তারা নিজেদের ব্যাপারে যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ হবে না। আর আল্লাহ হলেন পরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞ।

وَلِلْمُطَلَّقَـٰتِ مَتَـٰعٌۢ بِٱلْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُتَّقِينَ ٢٤١

আয়াত-২৪১ঃ আর তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য বিধিমত ভরণপোষণ দেয়া মোক্তাকীদের উপর কর্তব্য।

كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَـٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ ٢٤٢

আয়াত-২৪২ঃ এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তার নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পার।

 أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَـٰرِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ ٱلْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ ٱللَّهُ مُوتُوا۟ ثُمَّ أَحْيَـٰهُمْ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ ٢٤٣

আয়াত-২৪৩ঃ তুমি কি তাদের দেখনি যারা মৃত্যুভয়ে নিজেদের আবাসভূমি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল? তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদের বললেনঃ মরে যাও। পরে তাদের তিনি জীবিত করলেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করে না।

وَقَـٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌۭ ٢٤٤

আয়াত-২৪৪ঃ আর তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং জেনে রেখ, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

مَّن ذَا ٱلَّذِى يُقْرِضُ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًۭا فَيُضَـٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضْعَافًۭا كَثِيرَةًۭ ۚ وَٱللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُۜطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ٢٤٥

আয়াত-২৪৫ঃ এমন ব্যক্তি কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে? তারপর তিনি তার জন্য তা বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেবেন। আল্লাহই সংকুচিত করেন এবং তিনিই বিস্তৃত করেন এবং তারই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلْمَلَإِ مِنۢ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ مِنۢ بَعْدِ مُوسَىٰٓ إِذْ قَالُوا۟ لِنَبِىٍّۢ لَّهُمُ ٱبْعَثْ لَنَا مَلِكًۭا نُّقَـٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ۖ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ أَلَّا تُقَـٰتِلُوا۟ ۖ قَالُوا۟ وَمَا لَنَآ أَلَّا نُقَـٰتِلَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَـٰرِنَا وَأَبْنَآئِنَا ۖ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقِتَالُ تَوَلَّوْا۟ إِلَّا قَلِيلًۭا مِّنْهُمْ ۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّـٰلِمِينَ ٢٤٦

আয়াত-২৪৬ঃ তুমি কি মূসার পরে বনী ইসরাঈলের নেতাদের দেখনি? যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিলঃ আমাদের জন্য একজন শাসক নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি; তখন নবী বললঃ এমনতো হবে না যে, যদি তোমাদের প্রতি যুদ্ধের বিধান দেয়া হয় তখন আর তোমরা যুদ্ধ করবে না? তারা বললঃ আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করব না, অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি আমাদের আবাসভূমি ও সন্তান-সন্ততি থেকে? তারপর যখন তাদের যুদ্ধের বিধান দেয়া হল তখন অল্প সংখ্যক ছাড়া তাদের সবাই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল। আল্লাহ জালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًۭا ۚ قَالُوٓا۟ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ ٱلْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِٱلْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةًۭ مِّنَ ٱلْمَالِ ۚ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُۥ بَسْطَةًۭ فِى ٱلْعِلْمِ وَٱلْجِسْمِ ۖ وَٱللَّهُ يُؤْتِى مُلْكَهُۥ مَن يَشَآءُ ۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌۭ ٢٤٧

আয়াত-২৪৭ঃ আর তাদের নবী তাদের বলেছিল? নিশ্চয় আল্লাহ তালুতকে তোমাদের জন্য শাসক করে দিয়েছেন। তারা বলেছিলঃ তা কেমন করে হয় যে, তার কর্তৃত্ব চলবে আমাদের উপর? অথচ তার চেয়ে আমরা কর্তৃত্বের অধিক হকদার এবং সম্পদের দিক দিয়েও সে ততটা সচ্ছল নয়। নবী বললঃ আল্লাহই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং জ্ঞানে ও দেহে প্রাচুর্য দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন স্বীয় কর্তৃত্ব প্রদান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ءَايَةَ مُلْكِهِۦٓ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلتَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌۭ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌۭ مِّمَّا تَرَكَ ءَالُ مُوسَىٰ وَءَالُ هَـٰرُونَ تَحْمِلُهُ ٱلْمَلَـٰٓئِكَةُ ۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَةًۭ لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ٢٤٨

আয়াত-২৪৮ঃ আর তাদের নবী তাদের আরো বলল, তালুতের কর্তত্বের আলামত হলঃ তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর তরফ থেকে একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের চিত্ত প্রশান্তির জন্য, তাতে থাকবে মূসা ও হারূনের বংশধরদের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী, যা ফেরেশতারা বয়ে আনবে। অবশ্যই এতে রয়েছে তোমাদের জন্য নিশ্চিত নিদর্শন, যদি তোমরা প্রকৃত মু’মিন হও।

فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِٱلْجُنُودِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ مُبْتَلِيكُم بِنَهَرٍۢ فَمَن شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّى وَمَن لَّمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُۥ مِنِّىٓ إِلَّا مَنِ ٱغْتَرَفَ غُرْفَةًۢ بِيَدِهِۦ ۚ فَشَرِبُوا۟ مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًۭا مِّنْهُمْ ۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُۥ هُوَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ قَالُوا۟ لَا طَاقَةَ لَنَا ٱلْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ ۚ قَالَ ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَـٰقُوا۟ ٱللَّهِ كَم مِّن فِئَةٍۢ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةًۭ كَثِيرَةًۢ بِإِذْنِ ٱللَّهِ ۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّـٰبِرِينَ ٢٤٩

আয়াত-২৪৯ঃ তারপর তালুত যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বের হল তখন সে বললঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের পরীক্ষা করবেন একটি নদী দিয়ে। যে কেউ সে নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়, আর যে কেউ তার স্বাদ গ্রহণ করবে না সে অবশ্যই আমার। কিন্তু কেউ তার হাতের আজঁলা ভরে সামান্য পান করলে তার তেমন কোন দোষ হবে না। অতঃপর অল্প সংখ্যক ছাড়া তাদের সবাই সে পানি পান করল। পরে যখন তালুত ও তার সঙ্গী ঈমানদাররা তা অতিক্রম করল, তখন তারা বললঃ আজ আমাদের জালুত ও তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার মত শক্তি নেই। কিন্তু যারা দৃঢ়ভাবে ধারণা রাখত যে, আল্লাহর সাথে তাদের সাক্ষাত ঘটবেই তারা বললঃ আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল বিজয়ী হয়েছে কত বৃহৎ দলের মোকাবেলায়। আর আল্লাহ তো রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।

وَلَمَّا بَرَزُوا۟ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالُوا۟ رَبَّنَآ أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًۭا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٢٥٠

আয়াত-২৫০ঃ তালুত ও তার সেনাবাহিনী যখন জালুত ও তার সেনাবাহিনীর সম্মুখীন হল তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রভু! ধৈর্য দাও আমাদের মনে, দৃঢ়পদ রাখ আমাদের, আর সাহায্য কর আমাদের কাফের জাতির বিরুদ্ধে।

 

Surah Al-Maidah 51-100

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   আয়াত-৫১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ...

Surah Al-Maidah 1-50

Surah Al-Maidah / সূরা মায়িদাহ (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১ঃ ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু, সেগুলো ছাড়া যা তোমাদের কাছে...

Surah An-Nisa 151-176

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১৫১-১৭৬) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ এরাই প্রকৃতপক্ষে কাফের। আর আমি কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। আয়াত-১৫২ঃ যারা ঈমান আনে আল্লাহর...

Surah An-Nisa 101-150

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ১০১-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১০১ঃ আর যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর করবে, তখন তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি তোমরা নামায সংক্ষিপ্ত কর, এ আশংকায় যে, কাফেররা তোমাদের...

An-Nisa (51-100)

Surah An-Nisa / সূরা আন্ নিসা (আয়াত: ৫১-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-৫১ঃ তুমি কি তাদের দেখনি যাদের দেয়া হয়েছিল কিতাবের এক অংশ, তারা ঈমান রাখে জিবত ও তাগূতে এবং তারা কাফেরদের সন্মন্ধে বলেঃ এরাই...

An-Nisa (1-50)

Surah An-Nisa / সূরা আন নিসা (আয়াত: ১-৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত–১ঃ হে মানব! তোমরা ভয় কর তোমাদের রবকে, যিনি পয়দা করেছেন তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে এবং যিনি পয়দা করেছেন তার থেকে তার জোড়া, আর...

Surah Ali ‘Imran (151-200)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১৫১-২০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আয়াত-১৫১ঃ অতি সত্ত্বর আমি কাফেরদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করব, কেননা তারা আল্লাহর এমন শরীক সাব্যস্ত করেছে যার সপক্ষে আল্লাহ কোন...

Surah Ali ‘Imran (126-150)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১২৬-১৫০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُكُم بِهِۦ ۗ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (101-125)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ১০১-১২৫) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥ ۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ...

Surah Ali ‘Imran (76-100)

Surah Ali 'Imran/ সূরা আলে-ইমরান (আয়াত: ৭৬-১০০) بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ পরম করুণাময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি   بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ ٧٦ আয়াত-৭৬: হাঁ, অবশ্যই যে ব্যক্তি তার...